• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০১৯, ০৫:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৯, ২০১৯, ০৪:৩৯ এএম

এফ আর টাওয়ারে আগুনে শ্রীলঙ্কানসহ নিহত ২৬

এফ আর টাওয়ারে আগুনে শ্রীলঙ্কানসহ নিহত ২৬
এফ আর টাওয়ারের আগুন - ছবি : কাশেম হারুন

রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় বিভিন্ন হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আগুনে আহত ও দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৭২ ব্যক্তিকে আহত ও দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধারের পর রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর বলে বনানী থানার পরিদর্শক ইয়াসিন নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে একজন শ্রীলংকার নাগরিক রয়েছেন। 

ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন ৩জন। তারা হলেন মনির (৫০), মামুন (৩৫) ও মাকসুদুর রহমান (৩২)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন ২ জন। তারা হলেন আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২) ও শ্যামল (-)। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান ১জন। তার নাম নিরস চন্দ্র (৪৩)। তিনি শ্রীংলকার নাগরিক। বনানী ক্লিনিকে মারা ১ জন। তার নাম পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭)। অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান ১জন। তার নাম আমিনা ইয়াসমিন (৪০)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আরও দুই জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া আরো ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও এখনো তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আরও ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  

আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭২জন। এরমধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৪১ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ১৭ জন, ঢাকা অ্যাপোলো হাসপাতালে ৮জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৫জন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন ভর্তি রয়েছেন।

এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আগুন নেভানোর কাজে নৌবাহিনীর ফায়ার টিম ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার কাজ করছে। পাশাপাশি সেনা ও নৌবাহিনী সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এ তথ্য দিয়েছে আইএসপিআর। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহত পারভেজ সাজ্জাদ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির বালুগ্রামের নজরুল ইসলাম মৃধার ছেলে। দগ্ধ মামুনকে উদ্ধারের পর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি এফ আর টাওয়ারে অবস্থিত রিজেন্ট এয়ারের কর্মকর্তা ছিলেন। দিনাজপুর সদরের বালিয়াকান্দির আবুল কাশেমের ছেলে তিনি। রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে মারা যান শ্রীলঙ্কান অধিবাসী নিরস চন্দ্র। আর অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা গেছেন আমিনা ইয়াসমিন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম -ছবি জাগরণ

বিকেলে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল ফারুককে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধ রেজাউল আহমেদের (৩৭) অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপর আহত ব্যক্তি হলেন আবু হোসেন (৩৫)। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, এফআর টাওয়ারের নয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। বহুতল এই ভবনে ইন্টারনেটের বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডার ও বায়িং হাউস ছিল।

দুপুর ১টার দিকে এই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তাদের ২১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।  

এইচএম/আরএম/এসএমএম