• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০১৯, ০৯:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৩০, ২০১৯, ০৩:১২ পিএম

এফ আর ভবনের ২৪ মালিককে ডিএনসিসির চিঠি

এফ আর ভবনের ২৪ মালিককে ডিএনসিসির চিঠি
বনানী এফ আর টাওয়ারে আগুন- ছবি: কাশেম হারুন

অগ্নিকাণ্ডে বিধ্বস্ত বনানীর কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউর এফ আর (ফারুক-রূপায়ন টাওয়ার) ভবনের মালিক ২৪ জন। এ ২৪ জন মালিককে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে রাজউক, ডেসা ও ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি অফিস থেকে ভবনের মালিককে চিঠি দেয়া হচ্ছে। 

দৈনিক জাগরণকে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএনসিসি কর্মকর্তা আনসার আলী। 
  
তিনি বলেন, উত্তরের মেয়রের নির্দেশিত সে চিঠিতে প্রত্যেক মালিককে এবং এফ আর ভবনের মূল মালিককে ভবনের ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ, অব্যবস্থাপনা ও নিয়ম বহির্ভূত নকশার বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হচ্ছে। এ সকল চিঠির জবাবের সঙ্গে ওই ভবন সংক্রান্ত সকল ধরনের বৈধ কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে বলা হচ্ছে।   

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বনানী এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর ভবনটির ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা  এবং নিয়ম বহির্ভূত নকশা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে এই ভবনের মালিক কে বা কারা রয়েছেন তা জানতে কৌতুহল জেগেছে অনেকেরই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জমির মূল মালিকসহ এফ আর  টাওয়ারের স্বত্বাধিকারী মোট ২৪ জন রয়েছেন।
 
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মী, স্থানীয় লোকজন এবং ভবনটির ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এফ আর টাওয়ারের মালিক মোট ২৪ জন। তারা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও ফ্লোরের মালিক। ভবনে ফ্লোর আছে মোট ২৩টি। প্রতিটি ফ্লোরে জায়গার পরিমাণ ছয় হাজার স্কয়ার ফুট। নিচতলা এবং দ্বিতীয় তলায় বিভিন্ন সাইজের দোকান বানিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় তলায় রয়েছে একটি কনভেনশন সেন্টার, যার নাম রোজডেল ব্যানকুয়েট হল। এই হলের মালিক এবং নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার দোকানগুলোর মালিক একই ব্যক্তি, তিনি হলেন ভবনের জমির মূল মালিক এস এম এইচ ফারুক। এভবনের ডেভেলপার কোম্পানি হচ্ছে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট। সেই হিসেবে যৌথভাবে ভবনের নাম রাখা হয় ফারুক- রূপায়ণ টাওয়ার (এফ আর ভবন)।

জানা গেছে, ২০০৫ সালে ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করে রূপায়ন হাউজিং রিয়েল এস্টেট। তখন ভবনের মালিকানা ছিল অর্ধেক-অর্ধেক। ২০০৭ সালে জমির মালিক এস এম এইচ ফারুক ভবনটি বুঝে পান। এফ আর  টাওয়ারের চতুর্থ তলা থেকে ওপরের দিকে ২৩ তলা পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোরে চারটি করে ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে জায়গার পরিমাণ ১৫০০ স্কয়ার ফুট। ডেভেলপার কোম্পানি রূপায়ন ওই ভবনে তাদের অংশ বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেই হিসাবে বর্তমানে ভবনটির মালিক মোট ২৪ জন। মালিকরা আবার কেউ কেউ তাদের ফ্লোরগুলো ভাড়া দিয়েছেন। ভবনটিতে ২৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে কাশেম ড্রাইসেল নামে একটি কোম্পানি তিনটি ফ্লোরের মালিক, আমরা টেকনোলজিস নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের আছে চারটি ফ্লোর, ডার্ড গ্রুপের রয়েছে পাঁচটি ফ্লোর।  
এ ভবনের জমির মূল মালিক ফারুকের ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট ভবনের মালিক ২৪ জন, আর প্রতিষ্ঠান আছে ২৯টির মতো। এর মধ্যে একজন মালিক হলেন সানলাইট ব্যাটারির নির্মাতা কাশেম ড্রাইসেল লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাসভিরুল ইসলাম। তার ফ্লোরগুলো হরো ২০,২১ ও ২২ তলা।  এছাড়া আরও  মালিক যারা আছেন তাদের কারও কারও নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আছে, আবার কেউ ভাড়া দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এছাড়া, আগুনে ৫৯ জন আহত হয়ে রাজধানীর আটটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।

এইচ এম/বিএস