দেশব্যাপী চলমান বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রীবৃন্দ’র ব্যানারে এ মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন থেকে ধর্ষকদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে বিচার করে ধর্ষককে দড়িতে ঝুঁলানোরও দাবি জানান তারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে এ মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেন শিক্ষার্থীরা। এতে অংশ নেন- পরিবেশ বিজ্ঞানী কানিজ আকলিমা সুলতানা, ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক বিএম লিপি আক্তারসহ শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী। এছাড়াও একই দাবিতে তাদের সঙ্গে মানববন্ধনে যোগ দেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

কানিজ আকলিমা সুলতানা বলেন, ধর্ষণ, জন নির্যাতন এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। যেকোন মহামারী সরকার চাইলে রুখতে পারে। প্রশাসন যদি তাদের এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সাথে সংযুক্ত থেকে খোঁজ-খবর নেয় তাহলে দুই দিনের মধ্যেই বছর পর বছর চলতে থাকা এই ধর্ষণ রোধ হবে। একটা ধর্ষণ হলে পুরো পারিবারিক কাঠামো ভেঙ্গে যায়। এই পরিবারটা আর কোনদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। তাই আমরা চাই ধর্ষকদের শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড।

বিএম লিপি আক্তার বলেন, আমরা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই। প্রকাশ্যে তাদের শাস্তি চাই। অন্যান্য অপরাধের প্রকাশ্যে বিচার হলেও ধর্ষকদের বিচার হয় না। একটা খুনের চেয়ে কোন অংশে ধর্ষণকে ছোট মনে করি না। এজন্য যদি এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে ধর্ষকরা ভয় পাবে।

এছাড়াও বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে বিচার করে ধর্ষককে দড়িতে ঝুলানোর দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তাতে লেখা ছিল, ‘শিশুকামীদের ফাঁসি চাই, মৃত্যুদণ্ড চাই’, ‘ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই’, ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে বিচার করে ধর্ষককে দড়িতে ঝুলাতে হবে’, ‘বিকৃত মানুষরুপী জানোয়ারমুক্ত সমাজ দাবি নয়, অধিকার..’, ‘নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি’ ইত্যাদি।

এমআইআর/টিএফ