• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯, ০১:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯, ০১:৫৭ পিএম

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের আগে পুলিশ কেন ক্লাবে অভিযানে যায়নি?

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের আগে পুলিশ কেন ক্লাবে অভিযানে যায়নি?

ঢাকার বিভিন্ন হোটেল-ক্লাবে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান নিয়ে সাধারণ মানুষের খুব ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন- এক দু’দিনে ক্লাবে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়নি। আরও আগে কেন পুলিশ বা প্রশাসন এদের ধরপাকড় করেনি।

তাদের একজন ঢাকার পান্থপথের চা দোকানি মজনু মিয়া। তিনি বলেন, টেকার অভাবে আমরা ব্যবসার পুঁজি পাই না। আর ওদিকে টেকা উড়ে।

গাবতলী আমিন বাজারস্থ রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ফোরকান আলী বলেন, বাপরে বাপ, মানুষের কাছে যে কত টেকা আছে, সেইটা বুঝতামই না এই অভিযান না হইলে। কিন্তু আরও আগে এই অভিযান হওয়া দরকার ছিল। এক দুই দিনে তো এইসব হয় নাই।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, সরকার দলের যাদের যোগসূত্র পাওয়া গেছে, তারা তো আরও আগ থেকে এসব করে আসতেছিল। পুলিশ কী করেছে এতোদিন? আগে থেকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে এমন অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হত না।

বাংলামোটরস্থ ওয়ার্কশপের মালিক জমির হোসেনে বলেন, এই টেকা পয়সা যদি জুয়ায় না যাইত, তাইলে কোনো না কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যে ঘুরত। আপনে চাকরি করেন, আপনের বেতন বাড়ত, আমার মজুরি বাড়ত। আবার শুনছি যুবলীগের নেতা ওই দাড়িওলা লোকটা (সম্রাট) সে নাকি সিঙ্গাপুরে গিয়াও জুয়া খেলত। সে হারলে তো দেশের টাকা সিঙ্গাপুরেই দিয়ে আসত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মগবাজারে বাদাম বিক্রেতা সবুর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা করছে, খুব ভাল করছে। উনি দেশটাকে সাজাতে চান সুন্দরভাবে। আর তার দলের লোকরা আকাম-কুকাম কইরা দেশের ১২টা বাজায়। এইটা হইলো? উনার জন্য দোয়া করি। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে হিসেবে উনি অনেক সাহস নিয়া দলের টাউট-বাটপার, খারাপ লোকজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামছে।

মিরপুর ১০ নম্বরে মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করেন হাসান। তিনি বলেন, কী কমু কন? এই যে যেসব নেতাখেতার নাম উইঠা আসলো, তারা তো একদিনে জন্ম নেয় নাই। পুলিশ কী করছে এতোদিন? প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরে কেন অভিযান হইলো?

পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মাদ্রাসা ছাত্র মুজাম্মিল (২৮) বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে খুবই গুনাহের কাজ মদ ও জুয়া। ক্লাবগুলোয় যা পেয়েছে, তা শুনে একসময়কার আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগের কথা মনে পড়েছে। সে সময় যত ধরণের পাপ হত, তার মধ্যে ছিল মদ ও জুয়া। সে সময় তো প্রশাসন ছিল না। কিন্তু এখন তো প্রশাসন আছে, পুলিশ আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের আগে পুলিশ কী করেছে? তাদের মধ্যে কী পেশাদারিত্বের শিক্ষা নেই? এ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না? নিশ্চই তারা সেখান থেকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা পেত? না হলে কেন আগে কিছু করেনি। নীতিহীন পুলিশ দিয়ে দেশের কোনো উন্নতি হবে না।

চিকিৎসক মোস্তফা কামাল বলেন, কত মানুষ আসে, টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না, ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছেন। অথচ জুয়ার টেবিলে কত কাড়িকাড়ি টাকা উড়ে। অসহায় রোগীর সেবায়ও তো এসব টাকা খরচ করা যায়। এতেও প্রচুর মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।

আরএম/একেএস
 

আরও পড়ুন