• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০১৯, ০৯:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩০, ২০১৯, ০৯:১০ পিএম

রূপনগরে বিস্ফোরণ

জ্ঞান ফিরেই হাত খুঁজছিলেন জান্নাত

জ্ঞান ফিরেই হাত খুঁজছিলেন জান্নাত

সারাদিন পরের বাসায় কাজ শেষে বাসায় খাওয়ার জন্য পেঁপে ও মুরগি কিনতে গিয়েছিলেন জান্নাত আক্তার (২৭) । ফেরার পথে গ্যাস বেলুন বিক্রেতার সামনে দাঁড়িয়ে জান্নাত ভাবছিলেন তার কন্যাশিশু সুমাইয়ার জন্য বেলুন নেবেন। ঠিক তখনই গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরনে তার একটি হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তার ঠাঁই হয় হাসপাতালের বিছানায়। 

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকায় গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের একজন এই জান্নাত। 

বর্তমানে তার স্থান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওই দুর্ঘটনায় ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১২ শিশুসহ ১৭ জন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে জান্নাতকে অচেতন অবস্থায় ঢামেকে আনা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও ঢামেকের চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন- জান্নাত পৃথিবী ত্যাগ করেছেন। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে তার মধ্যে প্রাণের সন্ধান মেলে এবং হুঁশ ফেরে। কিন্তু হুঁশ ফেরার পর তার আর কান্না থামছে না। বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া ডান হাতটি খুঁজছেন এবং চিকিৎসকদের আকুতি জানাচ্ছেন হাতটি দিতে।

জান্নাতের বাড়ি ভোলার ইলিশায়। তিনি রূপনগরের ১২ নম্বর রোডের একটি বস্তিতে স্বামী অটোরিকশাচালক নজরুল ইসলাম ও শিশুসন্তান সুমাইয়াকে (৫) নিয়ে থাকেন।

জান্নাত জানান, বিস্ফোরণের পর তার আর কিছুই মনে নেই। হাসপাতালে এসে দেখেন, তার ডান হাত নেই।

হাসপাতালে জান্নাতের দেবর মনির হোসেনকে পাওয়া যায়। তিনি জানান, জান্নাতের কন্যা সুমাইয়া মিরপুরের একটি স্কুলে নার্সারিতে পড়াশোনা করে।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আলাউদ্দিন বলেন, জান্নাতের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাতের অংশটি আমরা পাইনি।

আরএম/একেএস

আরও পড়ুন