• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০১৯, ০২:৪৯ পিএম

কর্মক্ষেত্রকে সেবাকেন্দ্রে পরিণত করার নির্দেশ আইজিপির

কর্মক্ষেত্রকে সেবাকেন্দ্রে পরিণত করার নির্দেশ আইজিপির
উপ-পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে বক্তব্য রাখছেন পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী -ছবি

 

নিজ কর্মক্ষেত্রকে সেবাকেন্দ্রে পরিণত করতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। রোববার (২৭ জানুয়ারি) পুলিশের ৩৬ তম উপ-পরিদর্শকদের (এসআই) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে বক্তব্য দানকালে তিনি এই নির্দেশ দেন। 

রাজশাহীর সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন পুলিশ প্রধান। এর আগে আইজিপি প্যারেড পরিদর্শন ও সদ্য প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী এসআইদের অভিবাদন গ্রহণ করেন।

ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পুলিশকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। মামলার যথাযথ তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা, মামলার বাদী, ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেয়াসহ অর্পিত দায়িত্ব নির্মোহভাবে পালন করতে হবে।

এসময় জনগণকে আইনি সহায়তা দেয়া, তথ্যের ভিত্তিতে ত্বরিৎ আইনত ব্যবস্থা নেয়া, নারী-শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ সকল সেবাপ্রত্যাশীর প্রতি সংবেদনশীল আচরণের নির্দেশ দেন আইজিপি।

পুলিশ প্রধান আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তবায়ন করেছে। এতে পুলিশ সদস্যরা পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করেছেন। সন্ত্রাসবাদ হ্রাস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নয়ন তার একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন।

আইজিপি বলেন, জনগণের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তার আলোকে পুলিশে ধারাবাহিকভাবে বর্ধিত হারে নারীসদস্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া পুলিশের অপারেশনাল ক্ষেত্রসহ নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণও বাড়ছে।

সরকার প্রশিক্ষণের সুব্যবস্থা অত্যাধুনিক লজিস্টিকস ও ইকুইপমেন্ট সরবরাহের সুব্যবস্থা করছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, নতুন প্রযুক্তির বিকাশ ও বিশ্বায়নের ও ফলে অপরাধের প্রকৃতি, মাত্রা অপরাধ সংগঠনের কৌশলে নিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। পুলিশকেও তাই অপরাধ মোকাবিলা, কলাকৌশল প্রয়োগ এবং প্রযুক্তি ও লজিস্টিকস ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জন করতে হচ্ছে।

অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা থেকে শুরু করে পুলিশের কাজের পরিসরে সাইবার ক্রাইম রোধ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ, জাতীয় জরুরি সেবা- ৯৯৯ ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন ইত্যাদি সংযোজিত হয়েছে বলেও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন আইজিপি।

এ সময় দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা প্রস্তুত রেখে কর্মজীবন শুরুর জন্য নবীন পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বেস্ট একাডেমিক ক্যাডেট হিসেবে পুরস্কৃত হন ক্যাডেট (এসআই) মোছা. রুবিনা ইয়াসমিন। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী আরও ৪ এসআইয়ের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আইজিপি।

এএস/