• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০১৯, ১০:০৫ পিএম

পাল্টেছে ইয়াবার রঙ-রুট 

পাল্টেছে ইয়াবার রঙ-রুট 
সাদা ও হলুদ রঙের ইয়াবা

 

রঙ পরিবর্তনের পাশাপাশি ইয়াবা পাচারের রুট পাল্টিয়ে ফেলেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি দেশে যে সব ইয়াবার চালান ধরা পড়ছে বা পড়েছে তার বেশিরভাগই ভারত থেকে আনা। পুরাতন রুট ছেড়ে এখন মাদক ব্যবসায়ীরা ভিন্ন ভিন্ন নতুন রুট ব্যবহার করছে। এখন গোলাপি রঙের পরিবর্তে সাদা ও হলুদ রঙের ইয়াবা আসছে পাচার হয়ে।   

গত বছরের শেষ দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সাদা রঙের ইয়াবার একটি চালান আটক করে র‌্যাব-৩। পরে আরও কয়েকটা অভিযানে সাদা রঙের ইয়াবা আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

র‌্যাব -১ এর এডিশনাল এসপি সামিরা সুলতানা বলেন, ইয়াবার রঙটা ‘সাদা’ করার কারণ একটাই। চট করে দেখে যাতে বোঝা না যায় এটা ইয়াবা। তবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। এই পন্থায় আনার কারণ সাদাটা দেখতে ওষুধের মতো। সাধারণত ইয়াবা রঙ দেখতে গোলাপি। তবে সেটার রঙ পরিবর্তন করে আনলে সহজে বোঝা যায় না।

তিনি বলেন, সাদাটা হঠাৎ কেউ দেখলে মনে হবে এটা ঘুমের ওষুধ বা অন্য কোনো ওষুধ। তবে রঙ পরিবর্তন হলেও গন্ধ কিন্তু একই। এর আগেও হলুদ রঙের ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, সাধারণত গোলাপি রঙের ইয়াবা ধরতে অভ্যস্ত আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। চোখ ফাঁকি দিতেই রঙ পরিবর্তন করা হয়েছে। এগুলো মিয়ানমার ও ভারত থেকে আসছে। বেশ কিছু সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে মূলত এই রঙের পরিবর্তন হতে পারে।

তার দেয়া তথ্য মতে, গোলাপি রঙ হলে সহজে চোখে পড়ে যায় বলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কৌশল পাল্টে ফেলেছে। সাদা ও হলুদ রঙের ইয়াবার চালান নিয়ে আসছে তারা। এরই মধ্যে ধরা পড়েছে বেশ কয়েকটি চালনা। তবে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী বলছে, এগুলো ধরা বেশ কঠিন। নতুন এই ইয়াবা নিয়ে চিন্তিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ এগুলো দেখতে সাধারণ ওষুধের মতো। আর কৌটায় ভরে নিয়ে আনা হলে বোঝা মুশকিল কোনটা ইয়াবা কোনটা সাধারণ ঔষধ।

গত বছরের মে মাস থেকে মাদকবিরোধী যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, তার মধ্যে ইয়াবার ব্যবসায়ীরাই সবচেয়ে বেশি ধরা পড়েছে। বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের সিংহভাগই এই ইয়াবার কারবারে জড়িত।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক গবেষণা বলছে, দেশে মাদকাসক্তদের ৭০ শতাংশই ইয়াবায় আসক্ত। 

ইয়াবার নাম ও ব্যবহার প্রথম জানাজানি হয় ২০০৭ সালের দিকে। তখন থেকেই ইয়াবা আসতো মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ হয়ে। ওই এলাকায় এখন নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অভিযানের মুখে আত্মসমর্পণের জন্য সেফহোমে চলে এসেছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। 

এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দিন জানান, রাজশাহী বিভাগে একই ধরনের একটি চালান ধরা পড়েছে। আমরা এখন অ্যালার্ট হয়েছি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে নতুন করে মেসেজ দিতে চাচ্ছি নতুন ইয়াবাগুলো ভারত থেকে আসছে। এরই মধ্যে আমরা সেই দেশের মেসেজ কন্ট্রোল ব্যুরো অব ইন্ডিয়াকে অ্যালার্ট করে দিয়েছি।

এইচএম/এসএমএম