• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯, ০২:৫৯ পিএম

দুদক কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, আটক ২

দুদক কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, আটক ২

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ২ প্রতারককে আটক করেছে র‌্যাব-২। শুক্রবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর হাজারীবাগে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা বিকাশ হিসাবসহ ২১টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয় তাদের কাছ থেকে।

আজ শনিবার ( ২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মিডিয়া শাখার কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এ তথ্য জানান।    

তিনি জানান, ওই দুই প্রতারক দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দুর্নীতি মামলার ভয় দেখিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫০০ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুর্নীতি মামলার ভয় দেখিয়ে ৩৫-৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

মুফতি মাহমুদ জানান, গত ২৭ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক এক চিঠিতে র‌্যাবকে এ বিষয়টি জানান। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে হাজারীবাগের ৪১/১ সনাতন গড়, বউ বাজার থেকে আনিছুর রহমান ওরফে বাবুল (৩৬) কে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ৩ টি মোবাইল ফোন ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করা ১৪ টি সিম উদ্ধার করা হয়।

আনিছুর রহমানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার সহযোগী ও বিকাশ এজেন্ট মো. ইয়াসিন তালকুদার (২৩)কে গ্রেফতার করা হয়। ইয়াসিন এর কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত বিকাশ হিসাবধারী ১২ টি সিমসহ ১৮ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আনিছুর রহমান বাবুল ও ইয়াছিন জানায়, ২০১৪ সাল থেকে তারা তাদের সহযোগীদের নিয়ে এ প্রতারণা করে আসছে। দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের পর তারা সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টার্গেট করে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা প্রক্রিয়াধীন বা দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এমন তথ্য দিয় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করার পরিকল্পনা করে।

প্রাথমিকভাবে তারা সরকারি বিভিন্ন দফতরে গিয়ে মোবাইল বা টেলিফান নম্বর সংগ্রহ করতে শুরু করে। এতে করে খুব বেশি সংখ্যক তথ্য সংগ্রহ করতে না পেরে সরকারি টেলিফান ডিরেক্টরি থেকে নম্বর সংগ্রহ করে।

মুফতি মাহমুদ জানান, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫০০ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুর্নীতি মামলার ভয় দেখিয়ে ৩৫-৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। অনেকের কাছে ফোন করে উল্টো ধমকও খেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে শাসিয়েছেনও অনেক কর্মকর্তা।

ভুয়া রজিষ্ট্রেশনে সিম সংগ্রহ ও বিকাশ হিসাব খোলার বিষয়ে প্রতারকরা জানায়, তাদর নিজস্ব সিম বিক্রয় ও বিকাশ এজেন্টের দোকান

থাকায় দিনমজুর, গার্মেন্টকর্মী বা গৃহপরিচারিকার মতো লোকজন সিম গ্রহণের জন্য আসলে তাদের অগোচরে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি ব্যবহার করে একাধিক সিম বিক্রির রজিষ্ট্রেশন করে এবং উক্ত সিমের মাধ্যমে বিকাশ হিসাব খুলে নিতেন। পাল্টা হুমকি পেলে তারা সেই সিম নষ্ট করে ফেলতেন।

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান মুফতি মাহমুদ।


আরআর