• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯, ০৯:৩১ এএম

আইডিআরএ প্রতিবেদন

নন-লাইফ বীমায় বাড়ছে বিনিয়োগ

নন-লাইফ বীমায় বাড়ছে বিনিয়োগ

 

সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প অব্যাহত থাকায় নন লাইফ বীমায় বাড়ছে বিনিয়োগের পরিমাণ। এই ধারাবাহিকতায় বিদায়ী বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বীমা খাতের বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষ (আইডিআরএ) এক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বীমাকারীর প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩৯ দশমিক ২৯ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার ৯৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বিনিয়োগের পরের অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি খাতের কোম্পানি পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স। প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এছাড়া সিকদার ইন্স্যুরেন্সের ১২৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, রিল্যায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৬২৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ৯০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নিটল ইন্স্যুরেন্সের ১শ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জাগরণকে বলেন, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে বীমা বাধ্যতামূলক হওয়ায় রাষ্ট্রয়াত্ত প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের বিনিয়োগ বেড়েছে। এজন্য অনান্য নন-লাইফ বীমা কোম্পানির বিনিয়োগ বেড়েছে। কারণ আইন অনুযায়ী, সাধারণ বীমা কোম্পানির ব্যবসার একটি অংশ পায় দেশের অন্য নন-লাইফ বীমা কোম্পানি। 

আইডিআরএর তথ্য অনুসারে, বিদায়ী বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৪৯৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ইষ্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ১৯৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ১৪৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ১৪৬ কোটি ২১ লাখ টাকা, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ১২৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ১১৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৮৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৮০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের ৭৭ কোটি ১১ লাখ টাকা, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৬৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের বিনিয়োগ ৪৭ কোটি টাকা, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৪৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৪৪ কোটি ১ লাখ টাকা, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৪৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৪১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ৪০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ৪০ কোটি ৫১ লাখ টাকা, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের ৩৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, জনতা ইন্স্যুরেন্সের ৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ২৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ২৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের বিনিয়োগের পরিমাণ ১৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

এআই/এসএমএম