• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০১৯, ০১:৪০ পিএম

বীমা খাতের কমিশন বাণিজ্য বন্ধে মাঠে আইডিআরএর ভিজিল্যান্স টিম

বীমা খাতের কমিশন বাণিজ্য বন্ধে মাঠে আইডিআরএর ভিজিল্যান্স টিম

 

দেশে ব্যবসরত নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর অবৈধ কমিশন প্রদানের কারণে বীমা দাবি নিষ্পত্তিতে বাধে জটিলতা। তাই এসব নন লাইফ কোম্পানির অবৈধ কমিশন বন্ধে গ্রাহক পর্যায়ে নতুন টিম গঠন করে মাঠে নেমেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। 

সম্প্রতি এসব অনুসন্ধানে বেশকটি কোম্পানির অবৈধ কমিশন প্রদানের সত্যতা পেয়েছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানটি। আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সারা দেশে ব্যবসারত বীমা কোম্পানির ব্রাঞ্চ অফিস থেকে শুরু করে গ্রাহক পর্যায়েও অনুসন্ধান শুরু করেছে আইডিআরএর একাধিক টিম। বীমা কোম্পানি ও গ্রাহকের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, পলিসিপত্র, মানি রিসিট, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করবে মাঠ পরিদর্শনে থাকা এই টিম।
 
বীমা আইন অনুযায়ী, নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ব্যবসা সংগ্রহে ১৫ শতাংশ কমিশন দেয়ার বিধান রয়েছে। আইনের ৫৮ ধরার ১ উপ-ধারায় এজেন্ট ছাড়া অন্য কারো মাধ্যমে প্রিমিয়াম সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়াও এজেন্ট ছাড়া অন্য কাউকে প্রিমিয়াম সংগ্রহের জন্য কমিশন বা পারিশ্রমিক দেয়াও নিষেধ বীমা আইনে। কিন্তু কে শোনে কার কথা? কিছু কোম্পানি অতিরিক্ত মুনাফার আশায় আইনের তোয়াক্কা না করেই অবৈধ কমিশন প্রদান করে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইডিআরএ এর নির্বাহী পরিচালক খলিল আহমদ দৈনিক জাগরণকে বলেন, নন লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর অবৈধ কমিশন বন্ধে কাজ করছে। এছাড়া ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। সারা দেশে এসব টিম অবৈধ কমিশন বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু কোম্পানিকে অবৈধ কমিশন প্রদান করার দায়ে জরিমানাও করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো ব্যবসা সংগ্রহ করতে কোন কোন ক্ষেত্রে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দিচ্ছে। কিন্তু আইনে স্পষ্ট বলা আছে নন লাইফে ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন দেয়া যাবে না। আর এসব কমিশনের প্রায় পুরোটাই যাচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তা ও গ্রাহকের পকেটে। আর্থিক দিক থেকে দুর্বল কোম্পানিগুলোই এ অবৈধ কমিশন দিচ্ছে। বীমা কোম্পানিগুলো কমিশনের টাকা গ্রাহক ও অসাধু কর্মকর্তাদের পরিশোধ করছে কখনো নগদে কখনো বেনামি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে। এমন পরিস্থিতিতে বীমা কোম্পানিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আর সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব।

এআই/বিএস