টানা আড়াই মাস ধরে পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও দরপতন অব্যাহত ছিল। পুঁজিবাজারের টানা দরপতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ কারণে আগামী ৩ দিনের মধ্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর সামনে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিনিয়োগকারীরা।
মানববন্ধনে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ, যেসব শেয়ারের দর ইস্যু মূল্যের নিচে চলে এসেছে সেগুলো বাইব্যাক করা, আইপিওর বাণিজ্য বন্ধ করা, খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা, যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করবে তাদেরকে ন্যূনতম ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া এবং পুঁজিবাজারে জেড ক্যাটাগরি এবং ওটিসি মার্কেটের বিষয়ে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের যোগ্য নন। তার সময়কালে অনুমোদিত ১১২টি আইপিওর অধিকাংশই বর্তমানে ইস্যু মূল্যের নিচে বা ইস্যু মূল্যের কাছাকাছি অবস্থান করছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গেও তিনি সমন্বয় করতে পারেননি। তাই পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে হলে এখানে আস্থা ফেরাতে হবে। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান বিগত ৯ বছরেও পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে পারেননি। তার কাছে আর ভালো কিছু আশা করা যায় না।
মিজান-উর-রশিদ বলেন, এম খায়রুল হোসেন চাহিদা জোগানের কথা বলে নাম সর্বস্ব কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করছেন। এর মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত ফায়দা হচ্ছে কি না তা নিয়ে আমি কিছু বলব না, কিন্তু পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা কিছুই পাচ্ছেন না। তাই আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি। নতুবা আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।
এআই/ এফসি