• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০১৯, ০৯:১৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৪, ২০১৯, ০৫:০০ পিএম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি

আর যেন রানা প্লাজার পুনরাবৃত্তি না ঘটে : রুবানা হক

আর যেন রানা প্লাজার পুনরাবৃত্তি না ঘটে : রুবানা হক
জুরাইন কবরস্থানে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক -ছবি

রানা প্লাজায় নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য নতুন করে করার কিছুই নেই। তবে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকে নজর দিতে হবে। সবসময় এ রকম ঘটনা রোধে বিজিএমইএ সোচ্চার থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি রুবানা হক।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে জুরাইন কবরস্থানে রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, রানা প্লাজার পর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। নতুন করে পোশাক খাত বিশ্বের বুকে জায়গা করে নিয়েছে। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। শ্রমিকদের কল্যাণে ও মান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। শ্রমিকদের জীবন মানের উন্নতি হয়েছে। ছোট ছোট যেখানে ভুল ছিল সেগুলোও এখন আর নেই। বিদেশি প্রেসক্রিপশনে নয়, নিজেদের উদ্যোগে পোশাক খাতে কাজ করা হবে। কিভাবে শ্রমিকদের কল্যাণ সাধিত হয়, ভবিষ্যতে সেই চিন্তা আরও বেশি করে করা হবে। শ্রমিকরা না থাকলেও আমরা চলতে পারব এমনটা ভাবার একেবারেই সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে ৮টার দিকে সাভারে নয় তলা বিশিষ্ট পোশাক কারখানা রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ে। এ ঘটনায় ১ হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত হয়। আহত হয় আরও দুই হাজারের মতো শ্রমিক। এ ঘটনায় কারখানাটির মালিক রানা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। আদালতে এই বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

রানা প্লাজা নিয়ে অ্যাকশন এইডের প্রতিবেদন অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক। তিনি বলেন, আর পোশাক খাত নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা নিছক মিথ্যাচার ছাড়া কিছু নয়। 

অ্যাকশন এইড নিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর রানা প্লাজা দুর্ঘটনার বর্ষপূর্তি যখন আসে ঠিক তখনই পোশাক খাত নিয়ে একটি করে রিপোর্ট প্রকাশ করে অ্যাকশন এইড। আর সারা বছর কেন করে না, তা বুঝি না। কাজেই পোশাক খাত নিয়ে কেউ কোনো ষড়যন্ত্র করছে কি না সেদিকেও সজাগ থাকতে হবে।

এ সময় রুবানা হকের মঙ্গলবার প্রকাশিত টিআইবির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিআইবি বলছে, আগের চেয়ে ৫১ ভাগ শ্রমিক কাজ হারিয়েছে। টিআইবির কাছে জানতে চাই কতজনের ওপর তারা জরিপ করেছে। ১৪০০ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ২০০ কোম্পানির ওপর জরিপ করে এমন তথ্য প্রকাশ করা ঠিক না। ২০ ভাগ শ্রমিক কর্মক্ষমতা হারিয়েছে। ২৬ ভাগ বেতন কমেছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কাজেই এসব আরও ভালো করে জানতে হবে। টিআইবির প্রতিবেদন আমরা ভালো করে অবজার্ভ করছি। এরপরই আমরা এ বিষয়ে জানাবো।

তিনি বলেন, তারা ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ঋণখেলাপি বলছে। কারা ঋণখেলাপি সেটি জানতে হবে। যারা ঋণখেলাপি তারা হয়তো অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান। আমরা বলতে চাই, ইচ্ছে করে যারা ঋণখেলাপি রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর যারা অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি, আমরা তাদের পাশে সর্বশক্তি নিয়ে দাঁড়াবো।

এআই/একেএস