• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০১৯, ০৬:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৯, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম

‘বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের সম্প্রচার বন্ধ’

‘বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের সম্প্রচার বন্ধ’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার -ছবি

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের মোবাইল কোম্পানির মধ্যে সিটিসেলের কাছে সরকারের রাজস্ব বকেয়া রয়েছে ১২৮ কোটি টাকা। বকেয়া পরিশোধ না করায় কোম্পানির সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। এ সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে হাইকোর্টে একাধিক মামলা রয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সংসদে ঢাকা-২০ থেকে নির্বাচিত এমপি বেনজীর আহমেদের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকালে এ অধিবেশন শুরু হয়। 

মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, বিটিআরসি সরকারি রাজস্ব নিশ্চিতে নিয়মিত সেলফোন কোম্পানিগুলোর অডিট করা হয়। এরইমধ্যে গ্রামীণ ও রবির অডিট সম্পন্ন হয়েছে। অডিটে গ্রামীণ ফোনের কাছে বিটিআরসির ৮,৪৯৪.০১ কোটি এবং এনবিআরের ৪,০৮৫.৯৪ কোটিসহ মোট ১২,৫৭৯.৯৫ কোটি টাকা পাওয়া হয়েছে। আর রবির কাছে বিটিআরসির ৬৭৭.৭৬ কোটি এবং এনবিআরের ১৮৯.৪৭ কোটিসহ মোট ৮৬৭.২৩ কোটি টাকা পাওয়া হয়েছে। এসব বকেয়া পাওয়া পরিশোধে গ্রামীণ ও রবির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এসব অর্থ আদায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

মন্ত্রী বলেন, এছাড়া বাংলালিংক ও এয়ারটেল অপারেটরের অডিট করার জন্য অডিটর নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের কাছে ৩জি স্পেপট্রাম অ্যাসাইনমেন্ট ফি বাবদ ১,৫৮৫.১৩ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। উক্ত বকেয়া পরিশোধের জন্য বিটিআরসির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

বেনজীর আহমেদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সর্বনিম্ন কলরেট অননেট ও অফনেট এ ভ্যাট ছাড়া ৪৫ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ২ টাকা। মোবাইল সেলফোন কোম্পানিগুলো উল্লেখিত সীমার মধ্যে বিভিন্ন অফার ও প্যাকেজ সেবা প্রদান করে থাকে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা রয়েছে। এ কাজ বাস্তবায়নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এরইমধ্যে একটি প্রাথমিক কর্ম-পরিকল্পনা প্রস্তুত করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নির্মাণ ও উৎক্ষেপের উপর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সংরক্ষিত মহিলা এমপি বেগম আদিবা আনজুম মিতার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাসকরণ বর্তমান সরকারের এক অন্যতম সাফল্য যা দেশের অর্থনীতিতে সূদুর প্রসারী ভূমিকা রাখছে। সাধারণ জনগণের জন্য ইন্টারনেটের ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলশ্রুতিতে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথর মূল্য জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে এসেছে। দেশে ইন্টারনেটের প্রসার ও গতি বৃদ্ধি, ডিজিটাল ডিভাইড হ্রাস এবং আইটিভিত্তিক সার্ভিসসমূহের বিকাশ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সংসদ সদস্য লিয়াকত আলী খোকার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষেল অধীনে দেশের সকল বিভাগ ও জেলায় হাইটেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে ঢাকা জেলার কাওরান বাজারে জনতা টাওয়ারে, যশোরের সদর উপজেলায় শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, রাজশাহী বিভাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক, রাজশাহী, সিলেট বিভাগে সিলেট ইলেক্ট্রনিক্স  সিটি এবং গাজীপুরে কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের সকল বিভাগে হাইটেক পার্ক/ আইটি ভিলেজ স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামীতে জমি ও বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আইটি ভিলেজ/ হাইটেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

এইচ এস/ একেএস