• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০১৯, ০৯:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৪, ২০১৯, ০৯:৫৬ পিএম

ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে তৈরি হচ্ছে জটিলতা 

ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে তৈরি হচ্ছে জটিলতা 

ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আর তা হচ্ছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ভ্যাট প্রদানকারী দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মুখোমুখি অবস্থানের অবসান ঘটাতে উদ্যোগ নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মঙ্গলবার (১৪ মে) ব্যবসায়ী ও এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছেন, কোনো সমস্যা নেই ভ্যাট আইন নিয়ে। তবে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। 

জানা গেছে, ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন ২ বছর পিছিয়ে ২০১৯ সাল নির্ধারণ করে। এই নির্ধারিত সময়ে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা তৈরি না হওয়ার কথা থাকলেও নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। অর্থমন্ত্রী এদিনও বলেছেন আগামী পহেলা জুলাই ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। 

কিন্তু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগামী অর্থবছরেই ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করবে সরকার। কিন্তু আজ পর্যন্ত কীভাবে, কার কাছ থেকে কোন ধরনের ভ্যাট আদায় করা হবে তা স্পষ্ট করেনি এনবিআর। কোন ধরনের ব্যবসায়ীরা কত শতাংশ হারে ভ্যাট দেবেন তা সুস্পষ্ট করা হয়নি। এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে যেসব বিষয় সুস্পষ্ট করা হয়েছে তা এনবিআর প্রত্যাখ্যান করেছে। এনবিআর চাইছে, এনবিআরের নিজের মতো করে ভ্যাট আদায় করতে। 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বড় স্টেক হোল্ডার। তাই তাদের সঙ্গে বিষয়টি সুস্পষ্ট না হলে নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে। যেহেতু ভ্যাটের বিভিন্ন স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে, তাই তাদের মতামত বিবেচনা করতে পারে এনবিআর। নতুবা তাদের সঙ্গে কীভাবে ভ্যাট নির্ধারণ করলে ভালো হবে সেই সমঝোতা করতে পারে এনবিআর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন দৈনিক জাগরণকে বলেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের আগে কোন খাতে কীভাবে অথবা কী পরিমাণে ভ্যাট দিতে হবে তা স্পষ্ট করা উচিত। আর এই বিষয় যদি স্পষ্ট না করা হয় তাহলে বাজেট পাস হওয়ার আগেই জটিলতা তৈরি হতে পারে।

এনবিআর বলছে, ব্যবসায়ীদের যেন কষ্ট না হয় সেই দিক বিবেচনায় নিয়ে করারোপ করা হচ্ছে। নতুন নতুন খাত করের আওতায় আসছে। ভ্যাট বাস্তবায়ন যেন সহজ হয় সেই কারণে অভিন্ন ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ থেকে সরে এসে তিনটি স্তর করা হয়েছে।

এদিকে, অর্থমন্ত্রীর আশ্বাসে ভরসা করছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দেশের উন্নয়নে আমরা যে যার জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আর ভ্যাট আইনের বাস্তবায়নের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, ট্যাক্স সিস্টেম এমন হবে যে যিনি ট্যাক্স দেবেন তিনি ব্যাথা পাবেন না, আবার ট্যাক্সও দেবেন। কোনো স্থানে ট্যাক্স বাড়বে না বলে জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

এআই/ এফসি