• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০১৯, ০৬:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৫, ২০১৯, ০৬:০৯ পিএম

এসএসএফ’কে আরো পারদর্শী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর 

এসএসএফ’কে আরো পারদর্শী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রযুক্তির যুগে অপরাধীদের নতুন প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে মোকাবেলার জন্য স্পেশাল  সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সদস্যদের আরো পারদর্শী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

তিনি বলেছেন,  প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে অপরাধের ধরণ পাল্টাতে থাকায় তা মোকাবেলার স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সদস্যদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠতে হবে। 

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর তেঁজগাঁওয়ে এসএসএফ অফিসার্স মেস-এ এসএসএফ’র ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। 

প্রত্যেকটি জিনিসের ভাল খারাপ দুটো দিক থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসের ধরণ বদলাচ্ছে, নতুন প্রযুক্তি যেমন আমাদেরকে উন্নয়নের যাত্রাপথকে সুগম ও গতিশীল করে দেয় তেমনি একইভাবে যারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, অসামাজিক কাজসহ নানা অপরাধে সম্পৃক্ত তাদের ক্ষেত্রেও নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।’


অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- এসএসএফ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে এই বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকান্ড সবিস্তারে তুলে ধরেন।

মন্ত্রি পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, তিনবাহিনী প্রধান, মুখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ,পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং এসএসএফ-এর সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে মানুষের জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন হওয়ায় আমাদের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটছে, জীবনযাত্রাকে অগ্রগামী করছে, উন্নয়নের ধারাকে অগ্রগামী করছে পাশাপাশি নানা ধরনের ঝুঁকিরও সৃষ্টি করছে।’

তিনি এ সময় এসএসএফ সদস্যদের আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠে এই প্রযুক্তিকে যারা মন্দ কাজে ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।
সরকার প্রধান বলেন, ‘এসএসএফকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে। এই বাহিনীতে নতুন নতুন প্রযুক্তির যেমন সন্নিবেশন ঘটাতে হবে সেইসাথে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় অপরাধের পরিবর্তিত অবস্থা সম্পর্কেও তাদের প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। আর সেইসঙ্গে যে কোনো অবস্থা মোকাবেলার সরঞ্জামাদিও দরকার।’
‘তাই যখন যেটা প্রয়োজন সেটার আমরা ব্যবস্থা করছি। ক্ষেত্র বিশেষে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েও তা করা হচ্ছে, ’যোগ করেন তিনি।

প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘যুগোপযোগী প্রশিক্ষণটা এজন্য সবসময় গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ, নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা, আন্তর্জাতিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি দেশি ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের যেকোন প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্যও অনুষ্ঠানে উপস্থিত এসএসএফ সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।খবর: বাসস 

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যারা আমাদের সমর্থন দেয়নি তাদের চক্রান্ত,কুটিলতা, জটিলতা থাকবে। কিন্তু সেগুলো মোকাবেলায় আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিতে হবে এবং সকলে সচেতন থাকবে, সেটাই আমরা চাই।’

দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সরকার কতৃর্ক ঘোষিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়। পরবর্তীতে এই বাহিনীকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স হিসেবে নতুন নামকরণ করা হয়। বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনী থেকে প্রেষণে নিযুক্ত অফিসারদের নিয়ে এসএসএফ গঠিত হয়ে থাকে।

বিএস