• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০১৯, ০৮:৪২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৮, ২০১৯, ০৮:৪২ এএম

সীমান্ত বাণিজ্য বাড়াতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে স্থলবন্দরগুলো

সীমান্ত বাণিজ্য বাড়াতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে স্থলবন্দরগুলো


সরকার সীমান্ত বাণিজ্য বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের স্থলবন্দরগুলো ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনাও নেয়া হচ্ছে। উদ্দেশ্য বাণিজ্য সুবিধার মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা।

দেশে বর্তমানে স্থলবন্দরের সংখ্যা ২৩টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থায় পরিচালিত হচ্ছে সাতটি বন্দর। ছয়টি বন্দরের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বিওটির ভিত্তিতে। এর জন্য বেসরকারি পোর্ট অপারেটরের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তি আছে।

অবশিষ্ট ১০টি বন্দরের কার্যক্রম চালু করতে নৌমন্ত্রণালয় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বন্দরগুলোর আরো গতিশীল করতে মিশন, ভিশন ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এসব প্রক্রিয়াধীন বন্দরের আধুনিকায়নের কার্যক্রম শেষ করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

পণ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে স্থলবন্দরের কার্যক্রম সম্প্রসারণে ২০০১ সালের ১৪ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়।

বন্দরগুলোর সহায়তায় স্থলপথে পণ্য আমদানি ও রফতানি সহজতর হচ্ছে। এখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন, পণ্য হ্যান্ডলিং ও সংরক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। সুবিধাজনক ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে অপারেটর নিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ ও সাশ্রয়ী সেবা প্রদান করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে বেনাপোল, বুড়িমারী ও ভোমরা স্থলবন্দর পণ্য আমদানি ও রফতানিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। বন্দরগুলো ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে ভোমরা বন্দরের কিছুটা সংস্কার হয়েছে। পণ্য পরিবহন সহজ করতে নির্মাণ হচ্ছে বিকল্প সড়ক (বাইপাস)।

ভোমরার মতো বেনাপোল বন্দরের আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) যাত্রীদের নির্বিঘ্নে চলাচল ও অবকাশ সুবিধার্থে একটি আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার ও বাস টার্মিনাল নির্মাণ হয়েছে। এ বন্দর থেকে লিংক রোড নির্মাণ হয়েছে ভারতের আইপিসি পর্যন্ত। তামাবিল স্থলবন্দরের অধিকাংশ অবকাঠামো নির্মাণ শেষে শুরু হয়েছে অপারেশনাল কার্যক্রম। বিপুল অর্থ ব্যয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উন্নয়নপূর্বক শুরু হয়েছে অপারেশনাল কার্যক্রম।

এছাড়া বন্দরগুলোর আরো ক্ষেত্র বাড়াতে বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ২৮ হাজার ৯৬৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নেওয়া হয়েছে একটি উন্নয়ন প্রকল্প, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ বন্দরের পার্কিং ইয়ার্ড, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড ও অফিস বিল্ডিংসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আরেকটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া তামাবিল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য ৩৩ হাজার ৩৫০ লাখ টাকা এবং একটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দরগুলোর সব ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে এর কার্যক্রম আরো বাড়বে।

আশা করা হচ্ছে, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান বা বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল মোটরযান চুক্তির (বিবিআইএন এমভিএ) আওতায় অদূর ভবিষ্যতে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারি রাজস্বের পরিমাণ বহুলাংশে বাড়বে।

আরআই