• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০১৯, ১২:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৪, ২০১৯, ১২:১০ পিএম

পিপলস লিজিংয়ের লেনদেন বন্ধ করলো ডিএসই

পিপলস লিজিংয়ের লেনদেন বন্ধ করলো ডিএসই

অবসায়নের অপেক্ষায় থাকা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (পিএলএফএসএল) শেয়ার লেনদেন বন্ধ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। রোববার (১৪ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, সদ্য সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির ১৯.৫১ শতাংশ দর কমেছে। এরই ধারাবাহিকায় গত সপ্তাহের সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার ৩.৩০ টাকা স্থিতি পেয়েছে।

জানা যায়, আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষায় চরম সংকটে থাকা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (পিএলএফএসএল) কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বুধবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।

প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হলেও আমানতকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাবে কি না তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলে, এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মোট আমানতের তুলনায় তাদের সম্পদের পরিমাণ বেশি রয়েছে। সুতরাং আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, যত দ্রুত সম্ভব আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেয়া হবে।

তারা জানান, পিপলস লিজিংয়ের আমানতের তুলনায় সম্পদের পরিমাণ বেশি। তাদের আমানতের পরিমাণ দুই হাজার ৩৬ কোটি টাকা। বিপরীতে সম্পদ আছে তিন হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। এ কারণে আমানতকারীদের শঙ্কার কিছু নেই।

১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরু করা এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় মতিঝিলে। আর গুলশান ও চট্টগ্রামে দুটি শাখা রয়েছে। পিপলস লিজিংয়ে এক হাজার ১৩১ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি দেখানো হয়েছে ৭৪৮ কোটি টাকা, যা ৬৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।

ধারাবাহিক লোকসানের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ প্রতিষ্ঠান ২০১৪ সালের পর থেকে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। এর মোট শেয়ারের ৬৭ দশমিক ৮৪ শতাংশই রয়েছে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে স্পন্সর ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে।

এআই/টিএফ