• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০১৯, ১২:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৪, ২০১৯, ১২:৩৭ পিএম

কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে বাড়ছে মশলার দাম

কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে বাড়ছে মশলার দাম

আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এরপরই কুরবানি ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে এরইমধ্যে গরম হয়ে উঠেছে নগরীর মশলার বাজার। যেহেতু মাংস রান্নায় মশলার বিকল্প নেই তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। বাণিজ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরও ঈদের আগে বেড়েছে মশলার দাম। কোনো কোনো মশলার ক্ষেত্রে এই দাম বেড়েছে হাজার টাকারও বেশি। শনিবার (৩ আগস্ট) বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে বিভিন্ন মশলার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে এলাচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৮০০ টাকা, জিরা ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, দারুচিনি ৪২০ টাকা, লবঙ্গ ৮৬০ , গোলমরিচ ৫২০, জয়ত্রী ২৫০০ টাকা, কাঠবাদাম ৮৫০ টাকা, পেস্তাবাদাম ২২০০ টাকা ও কাবাবচিনি ৩৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের মধ্যে এলাচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, দারুচিনি ৮০ টাকা, জয়ত্রী ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাঠবাদাম ১০০ টাকা, পেস্তাবাদাম ৮০০ টাকা ও কাবাবচিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০০০ টাকা। 

ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের বাকি আছে দুই সপ্তাহেরও কম সময়। প্রতিবছরের মতো এবারও চড়া হয়েছে মশলার বাজার। গত ১ মাস ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মশলা জাতীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে একটি অসৎ মহল মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে কথা হয় মায়ের দোয়া স্টোরের কর্মচারী জামানের সঙ্গে। তিনি দৈনিক জাগরণকে বলেন, ১ মাস আগে থেকেই মশলা জাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। এলাচের দাম বাড়ছে ২০ দিন আগে। আগের চেয়ে এখন কেজিতে এলাচের দাম ২০০ টাকা বেশি। বেড়েছে দারুচিনির দামও। ক্রেতাকে এখন দারুচিনির জন্য কেজিতে বাড়তি ৮০ টাকা গুণতে হচ্ছে৷

কিচেন মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী জানান, মশলার দাম ১ মাস আগেই বেড়ে গেছে। এখন বরং আগের চেয়ে এলাচের দাম কিছুটা কমেছে। ১০০ টাকা কমে এলাচ ২৩৫০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৷ সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজি প্রতি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে এখন। ঈদকে সামনে রেখে মশলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে দাম বেড়েছে এলাচ, দারুচিনি, জয়ত্রী, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম ও কাবাবচিনির।

আরেক দোকানি এমআর ট্রেডার্সের মালিক আহমেদ আলী বলেন, সব ধরনের মশলার দামই কিছু না কিছু বেড়েছে। রোজা ও বাজেটের পর থেকেই দাম বাড়ছে। তবে বাজারে মশলার পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কুরবানির ঈদে মশলার চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ে সরব হয়ে উঠেন। এ কারণে গত ১ মাস আগে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মাঝখানে কয়েকদিন এই দাম স্থিতিশীল থাকলেও গত সপ্তাহ থেকে বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া রসুন ১৬৫ থেকে ১৭০ ও  আদা ১৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক মাসের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ৭০ টাকা।


এআই/একেএস

আরও পড়ুন