• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০১৯, ০৯:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১, ২০১৯, ০৯:১৪ পিএম

কলকাতায় বইমেলার উদ্বোধন

রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন : ড. মোমেন

রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন : ড. মোমেন
বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনসহ অন্যান্যরা -ছবি : দীপঙ্কর দাশগুপ্ত

বাংলাদেশ জর্জরিত হয়ে রয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যায়। প্রায় এক কোটি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষকে সে দেশে আশ্রয় দেয়ার চাপ আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। এই সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলেছে চীন এবং মিয়ানমারের মতো দেশগুলো। এই সঙ্কট দীর্ঘদিন ধরে মোকাবেলা করা বাংলাদেশের পক্ষে কতটা সম্ভব হবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। এ ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) কলকাতায় মোহরকুঞ্জে বাংলাদেশ বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে এই কথা বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

বইমেলায় ঢাকা বাংলাদেশের ৮০ (আশি) জন প্রকাশক সংস্থা অংশ নিচ্ছে। 

মেলার উদ্যোক্তারা জানান, প্রথম দিনই যে পরিমাণ মানুষ মেলায় এসেছেন, তাতে তারা রীতিমতো উৎসাহিত। বাকি দিনগুলো এপার বাংলার সাহিত্যপ্রেমীর ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা। 

আবদুল মোমেন বলেন, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আজকের বিষয় নয়। এই ধরনের যোগাযোগ আরও যত বাড়বেততই পোক্ত হবে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ভিত্তি।

১০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মেলা। প্রতিদিন দুপুর ২াট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চললেও শনি ও রোববার আরও আধ ঘণ্টা বেশি মেলা চলবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

ড. এ কে আবদুল মোমেন ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দিল্লিতে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়জ্জেম আলি, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, প্রথিতযশা কবি শঙ্খ ঘোষ, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল পুস্তক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনের প্রধান নির্বাহী ফরিদ আহমেদ। 

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, বাংলাদেশ পুস্তক সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন এবং কলকাতার পাবলিশার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ডের সম্পাদক সুধাংশু দে।

বইমেলায় প্রতিদিন থাকছে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। বিশেষ আকর্ষণ বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী সোমনূর মমিনের (কোনাল) একক গান এবং শান্তিনিকেতনের মোহালি আদিবাসী নৃত্য। 

ডিডিজি/এসএমএম