• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, ০৪:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, ০৫:১০ পিএম

রফতানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক

আলুর রফতানি বাড়াতে তাগিদ সরকারের

আলুর রফতানি বাড়াতে তাগিদ সরকারের
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ -ছবি : জাগরণ

আলু রফতানি আরও বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুল রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, আলু চাষিদের আর্থিক সংকট মেটাতে সবকিছুই করবে সরকার। প্রণোদনার পাশপাশি রফতানিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলু রফতানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, চাহিদার প্রেক্ষিতে আলু রফতানিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অ্যাক্রিডেটেড ল্যাব স্থাপন করবে। বারি এ পর্যন্ত ৯১টি আলুর জাত অবমুক্ত করেছে। এ সময় মন্ত্রী আলু প্রসেসিং করে রফতানির উপর গুরুত্বারোপ করেন। 

আলু রফতানিকারকরা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও চিপসের জন্য আলুর উন্নতজাত আবাদ করতে তাগিদ দিয়ে বলেন, উন্নত আলু প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন করে রফতানি করে এই শিল্পকে লাভবান করতে হবে।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, রফতানি উপযোগী আলু পেতে হলে কন্ট্রাক্ট ফারর্মিং এ যেতে হবে। সরকার রফতানি উপযোগী আলুরবীজ অবমুক্তর ৩ বছরের সময় সীমা তুলে নিয়েছেন, এখন যেকেউ রফতানি উপযোগী আলুর জাত আবাদ করতে পারবে। তবে রোগ বালাইয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা প্রতিষ্ঠান তদারকি করবে। যে কোনো মূল্যে আলু রফতানি করতে হবে। এ ব্যাপারে সকলে মিলে সম্মিলিতভাবে কাজ করে এই শিল্পটিকে লাভজনক করতে হবে। আলুর উৎপাদন বছরে ৫ দশমিক ১৯শতাংশ হারে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ড. রাজ্জাক বলেন, রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় আলু রফতানির জন্য যে পর্যবেক্ষণ রয়েছে, তা পূরণ করে রফতানির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আরও নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে আলু রফতানি হচ্ছে সে সব দেশে কি জাতের আলুর চাহিদা রয়েছে, তা জানতে হবে এবং আমাদের দেশে সে আলু আবাদ করতে হবে।    

এমএএম/একেএস

আরও পড়ুন