• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২০, ০৮:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৬, ২০২০, ০৮:৪১ পিএম

অষ্টম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনায় বিলাসি লক্ষ্যমাত্রা

অষ্টম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনায় বিলাসি লক্ষ্যমাত্রা

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রত্যাশিত অর্জন না হলেও অষ্টম পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে বিলাসি সব লক্ষ্যমাত্রা। যেখানে প্রায় অসম্ভব উচ্চতায় নিতে হবে বেসরকারি বিনিয়োগ। বিদেশি বিনিয়োগ এবং রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যও বড়।

বিশ্লেষকদের মন্তব্য, পরিকল্পনা, অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্য থাকলেও বাস্তবায়নের জন্য নেয়া হয় না কার্যকর কোনও উদ্যোগ।

দেশের অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য বহুদিন ধরেই। সময়ের সাথে বেড়েছে অর্থনীতির আয়তন। সেই সাথে অবকাঠামো উন্নয়ন আর মাথাপিছু আয়ের সাথে উন্নত হয়েছে জীবনযাত্রার মান। কিন্তু তারপরও দুশ্চিন্তা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

এমন বাস্তবতায় ২০২০-২১ থেকে পরের পাঁচ অর্থবছরের জন্য নেয়া হচ্ছে উচ্চাভিলাষী সব লক্ষ্যমাত্রা। যা অর্জন প্রায় অসম্ভব, বর্তমান বাস্তবতায়। যেমন- বর্তমানে বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাতে ২৩ শতাংশ হলেও, পাঁচ বছরে নেয়ার পরিকল্পনা সোয়া ২৮-এ। অথচ আগের পাঁচ বছরে বাড়েনি ১ শতাংশও। অন্যদিকে বিদেশি বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যও বড়। যার ওপর ভর করে, দেশের ভেতরেই পাঁচ বছরে কর্মসংস্থান করতে চায় ৮৫ লাখ মানুষের। যদিও এই সূচকেও স্বস্তি ছিল না আগের পাঁচ বছর।

দুরবস্থা সম্পদ আহরণ এবং বণ্টনেও। নতুন আইন প্রয়োগেও বাড়েনি রাজস্ব আদায়। উল্টো কমে গেছে প্রবৃদ্ধি। এমতাবস্থায় জিডিপির ১০ শতাংশের নিচে থাকা এই আয়কে অষ্টম পরিকল্পনার শেষ বছরে সরকার নিতে চায় সোয়া ১৬-তে। যেজন্য আস্থা রাখা হয়েছে কর প্রশাসনের সংস্কারে ওপর। এই আয়ে ভর করে সরকার উন্নত করতে চায় বণ্টন ব্যবস্থা। যাতে শেষ বছরে দেশের গরিব মানুষের হার নেমে আসতে পারে সাড়ে ১১ শতাংশে। বর্তমানে যা সাড়ে ২০।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মোট বিনিয়োগ দরকার হবে ৭৭ লাখ কোটি টাকা। যার চার ভাগের তিনভাগই যোগান আসবে বেসরকারি উৎস থেকে।

এসএমএম