চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এতে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারত থেকে কোনো প্রকার পেঁয়াজের গাড়ি বন্দরে প্রবেশ করেনি। একইসঙ্গে ভারত নতুন করে কোনো আমদানি অর্ডার নেয়নি।
স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ না আসায় জেলার খুচরা বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। চার ঘণ্টার ব্যবধানে শহরের নিউ মার্কেট ও পূরাতনবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৭ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, সকালে ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি দরে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। দুপুর ১২টায় নিউ মার্কেট বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭২ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের অতিরিক্ত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে ভারতের রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের দিনে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ৪৪ ট্রাক পেঁয়াজ এসেছে। তবে এগুলো আগের দিনের অনুমোদিত পেঁয়াজ। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাষ্টমস ও আমদানিকারকরা।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাষ্টমস সূত্র ও আমদানিকারক আব্দুল আওয়াল জানান, গত সোমবার সকালে থেকেই এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়। সন্ধ্যার পরও কয়েকটি ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে সারাদিনে ৪৪ ট্রাক পেঁয়াজ এসেছে এই বন্দর দিয়ে।
আমদানিকারকরা জানান, সোমবার আসা পেঁয়াজ আগের আমদানিমূল্যেই কেনা এবং এইসব পেঁয়াজ আগেরদিন রোববার রপ্তানির জন্য অনুমোদন পেয়েছিল। নতুন করে আর অনুমোদন দেয়া হয়নি। রাতেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের চিঠিও এসেছে বন্দরে। সোনামসজিদের ওপারে ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে আর কোনো পেঁয়াজের ট্রাক আটকে নেই বলেও জানান তারা।
পেঁয়াজ বন্ধের সিদ্ধান্তের পরই জেলা প্রশাসন ব্যবসায়ীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে পেঁয়াজের দাম না বাড়ানোর নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক।
এসইউ