• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২১, ০৬:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৪, ২০২১, ০৬:৩২ পিএম

‘অর্থ ব্যবহারের বৈষম্য থেকে সরকারের বের হওয়া দরকার’

‘অর্থ ব্যবহারের বৈষম্য থেকে সরকারের বের হওয়া দরকার’

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য যেখানে অর্থ বরাদ্দ দরকার, সেখানে উল্টো টাকা কাটা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

শুক্রবার (৪ জুন) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনায় আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ মন্তব্য করেন।

সিপিডির এই গবেষণা পরিচালক বলেন, “ব্যবসার এই ধরনের একটা অনিশ্চিত পরিবেশের ভিতরে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকারি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে সরকার কর্মসংস্থান বা কর্মসৃজনের চেষ্টা করবে। কিন্তু আমরা সরকারের বিভিন্ন কর্মসংস্থানের প্রকল্পগুলো বিশ্লেষণ করে দেখলাম, অনেকগুলো প্রাধিকার প্রকল্প, যেগুলোতে আরও বরাদ্দ থাকা দরকার, তেমন অনেক প্রকল্প পড়ে রয়েছে। যথেষ্ট পরিমাণ বরাদ্দ সেগুলোতে হয়নি।”

মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার কর্মসংস্থানের চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “তবে এমন কিছু মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে যেখানে এত বেশি এই বছর না রাখলেও হতো। যেমন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অথচ আমরা পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাড়তি বিদ্যুৎ এখন ব্যবহার করতে পারছি না। এটি করতে গিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যেসব জায়গায় সাধারণ মানুষের বরাদ্দ দরকার ছিল, সেখান থেকে উল্টো টাকা কেটে ফেলা হয়েছে।”

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, “কয়রার মতো এলাকাতে সাধারণ মানুষ ছোট একটি বাঁধের জন্য আন্দোলন করে, কিন্তু অন্য ক্ষেত্রে বড় প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার পরও তারা সেটি খরচ করতে পারে না। অথচ কয়রার মানুষ বাঁধ পায় না। অর্থ ব্যবহারের এই বৈষম্য থেকে সরকারের বেরিয়ে আসা দরকার।”

প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য সরকারের আরেকটু সচেতন হওয়ার সুযোগ ছিল বলে মনে করেন এই গবেষক। তিনি বলেন, “মনে রাখা দরকার, ব্যবসায়ীদের টাকা দিলে তারা কতটা বিনিয়োগে যাবে, সেটার মাধ্যমে কতটা কর্মসংস্থান হবে বা সরকার কতটা রাজস্ব পাবে, সেটার মধ্যে কিছুটা দ্বন্দ্ব আছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের হাতে সেই সুবিধা দিলে মানুষ ব্যয় করবে। ব্যয় করার মধ্যমে পণ্য কিনবে। এতে পণ্যের ওপর যে ট্যাক্স বা ভ্যাট আছে সেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আসবে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বাড়বে।”

এর আগে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সামনে প্রস্তাবিত বাজেটের পর্যালোচনা তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।