জাপান মুক্ত অর্থনীতি চুক্তিতে (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার রাতে জাপানের রাষ্ট্রদূত ও জাইকার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে জাপান ও জাইকার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের উত্তম জায়গা। আগামীতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য জায়গা পাওয়াই কঠিন হয়ে যাবে। তাই এখনই বিনিয়োগের উত্তম সময়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দিনে দিনে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অগ্রগতির সকল খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে।
বৈঠকে জাপানের রাষ্টদূত হিরো ইয়াসু ইজুমি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন-সহযোগী হলো জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। এ সময় তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে গর্বিত বলেও মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, মেট্রোরেলসহ ছয় প্রকল্পের জন্য ২০০ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাইকা। ঋণ প্যাকেজের আওতায় এ সহায়তা দিচ্ছে সংস্থাটি। ক্রমাগতভাবে এ ঋণ সহায়তা বৃদ্ধি পাবে।
ঋণের সবচেয়ে বড় অংশ যাচ্ছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণে নেওয়া প্রথম প্রকল্পে। মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ার্ড পাওয়ার, ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (মেট্রোরেল), সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহীতকরণ এবং ইমার্জেন্সি ইফিসিয়েন্সি অ্যান্ড কনজারভেশন প্রমোশন প্রকল্পে জাইকার অর্থ আসছে।
কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতি সেতুর চলমান প্রকল্প, যমুনা রেলসেতু কর্ণফুলী ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পেও জাইকার অর্থায়ন হচ্ছে।
কেএ/এসএমএম