• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১, ১২:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১, ১২:০১ পিএম

জনতা ব্যাংকে ঋণ খেলাপি ১৩ হাজার কোটি টাকা

জনতা ব্যাংকে ঋণ খেলাপি ১৩ হাজার কোটি টাকা

ঋণ বিতরণে জনতা ব্যাংকে ‘অনিয়মই যেন নিয়ম’। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বিতরণ করা ১৩ হাজার কোটি টাকার পুরোটাই এখন খেলাপি।

শর্ত ভঙ হয়েছে, ঋণ পুনঃতফসিলেও। 

চামড়াজাত পণ্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান আল-মদিনা ট্যানারি ঋণ খেলাপি হলে ২০১৮ সালে পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয়া হয় রাষ্ট্রিয়মালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের ৫০৫তম সভায়।

পুনঃতফসিলের পর নতুন ঋণ দিতে সাড়ে ৭ শতাংশ কম্পোমাইজড অ্যামাউন্ট আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা থাকলেও তোয়াক্কা করা হয়নি আল-মদিনা ট্যানারির ক্ষেত্রে।নেয়া হয়েছে খেলাপি ঋণের দুই শতাংশের কম।

ঋণের দুই কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে, পুনঃতফসিল সুবিধা বাতিলের শর্তকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে জনতা ব্যাংক। উল্টো একের পর এক ৮৭টি প্যাকিং ঋণ মঞ্জুর করে ব্যাংকটির লোকাল অফিস। মালামাল জাহাজীকরণ নিশ্চিত না হয়ে এবং ক্রেতার ক্রেডিট রিপোর্ট সংগ্রহ না করেই দেয়া হয়েছে এ সব ঋণ।

সব মিলিয়ে আল-মদিনা ট্যানারির কাছে জনতা ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণ ১০২ কোটি ৮ লাখ টাকা।

অনিয়ম শুধু আল-মদিনা ট্যানারির ক্ষেত্রে নয় ঋণের নামে অর্থ বিলিয়েছে এক্সিম লেদার, অঙ্গনা লেদার, গ্লোবাল ট্রিডিং লিমিটেড, এস এম স্টিল রি-রোলিং মিলসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের কাছে।

ঋণ বিতরণের অনিয়মে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো যেনো সব সময় এক ধাপ এগিয়ে। তার অনন্য নজির স্থাপন করেছে জনতা ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি হওয়া ঋণের ৮০ শতাংশের বেশি বিতরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অডিট বিভাগ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নজরদারি ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পাশাপাশি নিয়মনীতি মানা হলে এড়ানো যেত এই ধরনের অব্যবস্থাপনা।চ্যানেলটোয়েন্টিফোর।

জাগরণ/এমএ