• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০১৯, ০২:৫২ পিএম

আবারো বেড়েছে স্বর্ণের দাম

আবারো বেড়েছে স্বর্ণের দাম

 

আবারো বাড়লো স্বর্ণের দাম। বাংলাদেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি ফের ৫০ হাজার টাকা ছাড়ালো। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস স্বর্ণের দাম বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) স্বর্ণ ৫০ হাজার ১৫৫ টাকায় বিক্রি করতে হবে।

গত বছরের ১০ জানুয়ারি এই স্বর্ণ দর বেড়ে ৫০ হাজার টাকার উপরে উঠেছিল। পরে তা কমে এতোদিন ৫০ হাজার টাকার নীচেই বিক্রি হচ্ছিল। এক বছর পর ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বেড়ে তা আবারো ৫০ হাজার টাকা ছাড়ালো। ২০১২ সালে অবশ্য এই স্বর্ণের দাম বাড়তে বাড়তে প্রায় ৬০ হাজার টাকায় উঠেছিল।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার চড়া। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। এছাড়া স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সর্বশেষ চলতি বছরের শুরুতেই (১ জানুয়ারি) স্বর্ণের দর ভরিতে দেড় হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছিল। নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) স্বর্ণ ৫০ হাজার ১৫৫ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪৭ হাজার ৮২২ টাকা। আর ১৮ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪২ হাজার ৮০৭ টাকায়।

গত সোমবার পর্যন্ত প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণ ৪৮ হাজার ৯৮৯ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪৬ হাজার ৬৫৬ টাকা। আর ১৮ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪১ হাজার ৬৪০ টাকায়। এ হিসাবে ২২, ২১ এবং ১৮ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা করে বেড়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে নতুন দর কার্য্যকর হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাজুস। তবে গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলের ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি আগের ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকাই থাকবে বলে জানায় বাজুস। এর আগে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট ১৮, ২১ এবং ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দর এক হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়েছিল। জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ স্বর্ণ থাকে।

তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ পুরনো অলঙ্কার গলিয়ে তৈরি করা হয়। এ ক্ষেত্রে কত শতাংশ বিশুদ্ধ স্বর্ণ মিলবে তার কোনো মানদণ্ড নেই। অলংকার তৈরিতে স্বর্ণের দরের সঙ্গে মজুরি ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) যোগ করে দাম ঠিক করা হয়। রুপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের এক হাজার ৫০ টাকা ভরিতেই বিক্রি হচ্ছে রুপা।

এইচ এম/এসজেড