• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, ১২:৪৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, ১২:৪৯ এএম

রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমালো সরকার

রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমালো সরকার

বিভিন্ন রপ্তানি খাতের প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা কমিয়েছে সরকার, যা চলতি মাস থেকেই কার্যকর।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৈশ্বিক সংকটের এ সময়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়াতে প্রণোদনামূলক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে অনেক দেশ।

বাংলাদেশে রপ্তানিতে উৎসাহ দিতে প্রণোদনা বাড়ানো তো দূরে থাক, হঠাৎ করে মাঝ পথে এসে বস্ত্র খাতের পাঁচ ধরনের পণ্যে ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নেয়া হয়েছে। এর আওতায় প্রায় ৫৬ শতাংশ পণ্য রপ্তানি হয়। এছাড়া অন্য সব খাতে ভর্তুকির হার কমানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ হবে বাংলাদেশের। সে সময় রপ্তানি খাত থেকে নগদ সহায়তা ও প্রণোদনা সুবিধা প্রত্যাহার করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে একসাথে প্রণোদনা সুবিধা তুলে নেয়া হলে তা চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই চলতি বছরের শুরু থেকে প্রণোদনা ধাপে ধাপে কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বস্ত্র খাতের পাঁচটি এইচএস কোডের আওতায় রপ্তানি হওয়া পণ্যে কোনো নগদ সহায়তা দেয়া হবে না। এইচএস কোডগুলো হলো– ৬১০৫, ৬১০৭, ৬১০৯, ৬১১০ এবং ৬২০৩। এই পাঁচটি কোডে বস্ত্র খাতের মোট ৫৬ শতাংশ রপ্তানি হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যেহেতু রপ্তানি আদেশ নেওয়ার সময় ভর্তুকিসহ হিসাব করে তারা পণ্যের দর নির্ধারণ করেন। ফলে কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়া সরকার মাঝ পথে এসে এভাবে হঠাৎ ভর্তুকি তুলে নেয়া এবং কমানোয় তারা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য উৎসাহিত করতে ৪৩টি পণ্য ও খাতে নগদ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। ডব্লিউটিওর বিধান অনুসারে রপ্তানি ভর্তুকি হিসেবে বিবেচিত হয়। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনো ধরনের নগদ সহায়তা দেওয়া যাবে না। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। উত্তরণের পর সম্পূর্ণ নগদ সহায়তা একবারে প্রত্যাহার করলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। যে কারণে বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩০ জুন জাহাজি করা পণ্যে নতুন হার প্রযোজ্য হবে।

নতুন হার অনুযায়ী, রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র–ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। আগে যা ৪ শতাংশ ছিল। ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের প্রণোদনার হার ৩ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তাও ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। নীট, ওভেন ও সোয়েটারসহ তৈরি পোশাক খাতের সকল ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প অতিরিক্ত ৪ শতাংশই বহাল থাকবে। তবে নতুন পণ্য বা নতুন বাজারে ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৩ শতাংশ। তৈরি পোশাক খাতে বিশেষ নগদ সহায়তা ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। তবে এসব খাতে নির্ধারিত পাঁচটি এইচএস কোডের রপ্তানির বিপরীতে কোনো নগদ সহায়তা মিলবে না।

তৈরি পোশাক, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ শিল্প থেকে শুরু করে ৪৩ রকম পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেয় সরকার। গত অর্থবছরে এ খাতে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল সরকারের। 

জাগরণ/অর্থনীতি/এসএসকে