• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯, ০৮:২৪ এএম

প্রবাসী আয়ে সুবাতাস, অর্থবছর শেষে রেকর্ডের সম্ভাবনা

প্রবাসী আয়ে সুবাতাস, অর্থবছর শেষে রেকর্ডের সম্ভাবনা
ছবি: সংগৃহীত

 

প্রবাসী আয়ে বইছে সুবাতাস। গত আট মাসের মধ্যে সদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারিতে এসেছে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়)। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি (২০১৮-১৯) অর্থবছর শেষে রেমিট্যান্সে বছরভিত্তিক আরও একটি রেকর্ড হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, সদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাঠিয়েছেন ১৫৯ কোটি ৮ লাখ ডলার। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এসেছিল ১৩৭ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। 

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই থেকে জানুয়ারি) মোট প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯০৮ কোটি ৬২ লাখ ডলার। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৮৩১ কোটি ২২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। এতে গত সাত মাসে তুলনামূলকভাবে বেশি এসেছে ৭৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। 

গত জানুয়ারির আগে গত বছরের মে মাসে এসেছিল ১৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর আগের মাসগুলোতে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল এক রকম গড়পড়তা।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে আসা রেমিট্যান্সের মোট পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাঠান যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার, ১২ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার ও ১৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম-পরিমাণ রেমিট্যান্স। 

রেমিট্যান্সে বর্তমানে যে সুবাতাস বইছে তা অব্যাহত থাকলে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

গত বছরের বর্তমান সময়ে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৮০ টাকা পাওয়া যেত। বর্তমানে এর পরিমাণ ৮৩ থেকে ৮৪ টাকা। ফলে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান কিছুটা কম (এক ডলারের বিপরীতে তুলনামূলক বেশি টাকা) থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বজনদের পাশাপাশি রপ্তানিকারকরাও উপকৃত হচ্ছেন। বিপরীতে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা। কারণ ডলারের বিপরীতে তাদেরকে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে।

কেএ/আরআই