• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯, ১২:২৫ পিএম

পায়রা বন্দরের পরামর্শক নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর

পায়রা বন্দরের পরামর্শক নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর


পায়রা বন্দরের উন্নয়নে সঠিক কৌশলগত পরিকল্পনা ও ডিটেইল মাস্টার প্লান প্রণয়নে পরামর্শক নিয়োগের জন্য নেদারল্যান্ডের রয়েল হাসকনিং ডিএইচভি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) গবেষণা, পরীক্ষা এবং পরামর্শক ব্যুরোর (বিআরটিসি) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত এই চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআরটিসি, বুয়েট-এর পরিচালক অধ্যাপক ড.মো. শামসুল হক এবং রয়েল হাসকনিং এর স্ট্রাটেজিক বিজনেস ডাইরেক্টর এরিক স্মিট নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। 

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারউইজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ডিটেইল মাস্টার প্ল্যানসহ অন্যান্য রিপোর্ট প্রণয়নে ১৮ মাস সময় লাগবে। এজন্য ব্যয় হবে  প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। এ কাজে বুয়েটের ২৯ জন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এবং রয়েল হাসকনিং ডিএইচভি’র ৬১ জন বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করবেন।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ২৪টি ডেলিভারেবলস রিপোর্ট (সমীক্ষা এবং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফর্মা) প্রণয়ন করবে। 

এই মাস্টার প্লান প্রণীত হলে বন্দরের অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারিত প্রায় ৬ হাজার ৫শ’ একর জমিতে টপোগ্রাফি ও অন্যান্য সার্ভের মাধ্যমে ল্যান্ডইউজ প্লানসহ টার্মিনাল ও সকল স্থাপনার অবস্থান সেখানে চিহ্নিত হবে। 

ফলে পায়রা বন্দরের উন্নয়নের জন্য গৃহীত মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাসমূহ মাস্টারপ্লান রিপোর্টের ভিত্তিতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

মাস্টারপ্লানের আন্তর্জাতিকমানের ফিজিবিলিটি স্টাডি ও প্রকিউরমেন্ট ডকুমেন্টস দ্বারা বন্দরের নির্মিতব্য বাণিজ্যিক অবকাঠামোসমূহের জন্য উপযুক্ত বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা যাবে। মাস্টারপ্লানের রিপোর্টের আদলে স্মার্টিফিকেশন ও উন্নয়ন-কৌশল অবলম্বন করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বৈদেশিক বাণিজ্যে বন্দরের সেবা প্রদান করা যাবে। ফলে, পায়রা  বন্দরভিত্তিক দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে মাস্টারপ্লান রিপোর্টটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। 

এমএম/আরআই