• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৮, ২০১৯, ০৮:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৮, ২০১৯, ০৮:১৪ পিএম

অব্যবহৃত সৌরবিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে বিক্রি দ্রুত বাড়ছে

অব্যবহৃত সৌরবিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে বিক্রি দ্রুত বাড়ছে

● অব্যবহৃত সৌরবিদ্যুৎ ক্রয়ে শীর্ষে আরইবি (৬৫ গ্রাহক, ৬.২৬০ মেগাওয়াট) 

● দ্বিতীয় ডিপিডিসি (৯৪ গ্রাহক, ৮৬.৫ কিলোওয়াট) 

● নেসকো ( গ্রাহক ১, ৩৬৮ ‍কিলোওয়াট)

.............................................

নেট মিটারিং পদ্ধতিতে (এনএমএস) গ্রাহকদের কাছ থেকে জাতীয় গ্রিডে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রয় দ্রুত বাড়ছে। সারাদেশে এ বিক্রয়ের পরিমাণ এরইমধ্যে ৮ দশমিক ২১৩ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ছয়টি সরকারি বিতরণ প্রতিষ্ঠান মে মাসে ৩৫৯ গ্রাহকের কাছ থেকে সৌরবিদ্যুৎ ক্রয় করেছে। যেখানে ফেব্রুয়ারিতেও এ সংখ্যা ছিল মাত্র ১৭৯টি। খবর ইউএনবি’র

ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি), ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসি) ও নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।

বিদ্যুৎ বিভাগের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে গ্রাহকদের সৌরবিদ্যুৎ বিক্রয় শুরু হলেও গত ফেব্রুয়ারিতে তা ৪ দশমিক ২৪৩ মেগাওয়াট এবং মে মাসে দ্বিগুণ হয়ে ৮ দশমিক ২১৩ মেগাওয়াট হয়।

গত বছরের ২৮ জুলাই নেট মিটারিং নীতিমালার ভিত্তিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে ছাদের সৌরবিদ্যুৎ ক্রয়ের উদ্যোগ নেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

এ পদ্ধতিতে একজন ভোক্তা অনুমোদনকৃত লোডের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন এবং সেই সৌর প্যানেলে থেকে উৎপন্ন অতিরিক্ত বা অব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিশেষ মিটারের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন।

গ্রাহকরা জাতীয় গ্রিডের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ছুটির দিনগুলোকে বিশেষ করে যখন সৌর শক্তি ব্যবহার করা হয় না, তখন তারা জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবেন।

কাজের দিনগুলোতে, গ্রাহকরা গ্রিডে তাদের সৌরশক্তি সংরক্ষণ এবং বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানির কাছে বিক্রি বা ব্যবহারের জন্য ফেরত নিতে পারেন।

মাসের শেষে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল ও জাতীয় গ্রিডে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বিল সমন্বয় করা হবে। গ্রাহক যদি জাতীয় গ্রিডে বেশি বিদ্যুৎ বিক্রি করে থাকেন তাহলে সংশ্লিষ্ট বিতরণ কোম্পানি গ্রাহককে ওই পরিমাণ টাকা দেবে।

পরিসংখ্যান মতে, অব্যবহৃত সৌরবিদ্যুৎ ক্রয়ে শীর্ষে রয়েছে আরইবি। তারা সারাদেশের ৬৫ গ্রাহক কাছ থেকে ৬ দশমিক ২৬০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ ক্রয় করছে। আরইবি’র পরেই রয়েছে ডিপিডিসি, তারা ৯৪ গ্রাহক থেকে ৮৬ দশমিক ৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় করছে। আর মাত্র একজন গ্রাহক থেকে ৩৬৮ ‍কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ ক্রয় করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নেসকো।

অন্য তিনটি বিতরণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডব্লিউপিডিসি ৩৩ গ্রাহক থেকে ৩২৮ দশমিক ৮৬ কিলোওয়াট, পিডিবি ৭৫ গ্রাহক থেকে ২৫৯ দশমিক ৮৫ কিলোওয়াট এবং ডেসকো ৯১ গ্রাহক থেকে ১১৩৮ দশমিক ২৬ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ ক্রয় করছে।

সরকারি সূত্র জানায়, নেট মিটারিং পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহকদের থেকে অব্যবহৃত সৌরবিদ্যুৎ ক্রয়ের অগ্রগতি বিষয়ে গত ১৯ মে (রোববার) বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ বিভাগে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈঠকে বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয় যাতে তারা শিল্প প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ছাদে বেশি করে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন এবং অব্যবহৃত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে বিক্রি করার সুবিধা নেয়ার জন্য উৎসাহ দেয়।

এসএমএম