• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯, ০৫:৫৮ পিএম

সাগর উত্তাল, সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা

সাগর উত্তাল, সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা


দেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এ সময় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। বজ্রমেঘের ঘনঘটা বৃদ্ধির কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আজ সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তাল নদী ও পায়রা বন্দর
বরিশাল সংবাদদাতা জানান, বরিশাল ও পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর ও বরিশাল নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে ছোট আকারের সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। যার ফলে সকাল থেকে বরিশাল-ইলিশা-মজুচৌধুরীর হাটসহ অভ্যন্তরিন সব রুটে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আনিছুর রহমান জানান, আকাশে মেঘমালা জমে (বজ্র ক্লাউট) মঙ্গলবার সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর ২টা থেকে ঝড়ো বাতাস ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি বরিশালসহ উপকূলীয় অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সকাল থেকে ৬৫ ফুটের নিচে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর ফলে সকাল থেকে বরিশাল-ভোলা-কালিগঞ্জ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

উপকূলীয় এলাকা হিসেবে পরিচিত বরিশাল-ইলিশা ও মধুচৌধুরীর হাট রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে। তাই সকাল থেকে ওই রুটের ৬টি যাত্রীবাহী নৌযানের একটিও ছেড়ে যায়। আবহাওয়ার পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। তবে বরিশাল-ঢাকা সহ দুরপাল্লার রুটে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। তবে তাদের বিশেষ সতর্কতার সাথে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও দুপুর ২টার পর থেকে অঝরে বৃষ্টির কারণে নগরী সহ দক্ষিণা জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। শহরে জন সাধারণের চলাচল কমে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও অধিকাংশই দুপুর ১টা বাজার আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।

বিভিন্ন স্থান বৃষ্টিপাত
কালবৈশাখীর প্রভাবে দেশের প্রায় সব এলাকায় দুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গল সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যশোর জেলায়। বরিশাল বিভাগের মধ্যে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীতে ৪৪ মিলিমিটার। এ ছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীর সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশে ১৪, সিলেটের মৌলভীবাজারে ২০, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুরে ৪২, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় ৩ এবং ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর জেলায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৩১ মিলিমিটার। 

এসসি/এসএমএম