• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০১৯, ১২:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৯, ২০১৯, ১২:৩৮ পিএম

সংসদে পরিবেশ মন্ত্রীর দুই ধরনের উত্তর

সংসদে  পরিবেশ মন্ত্রীর দুই ধরনের উত্তর


সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের বাইরের চর্তুদিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাকে সরকার প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করলেও ৬ কিলোমিটারের মধ্যেই দেয়া হয়েছে শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের অনুমতি। একই সঙ্গে সঙ্কটাপন্ন এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী শিল্প কারখানা স্থাপনে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া করা হয় না বলা হলেও ৫টি বায়ু দূষণকারী সিমেন্ট কারখানাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে দুই সংসদ সদস্যের টেবিলে উত্থাপিত পৃথক দুই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সংসদে দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।   

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের নিকটতম স্থানসমূহে বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার মংলাবন্দর শিল্প এলাকায় ৫টি বায়ু দূষণকারী সিমেন্ট কারখানাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানসমূহ হলো মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, বসুন্ধরা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, মংলা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, দুবাই-বাংলা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড এবং হোলসিম (বাংলাদেশ) লিমিটেড।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্ট হতে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক যাতে পরিবেশ দূষণ না হয়, সেজন্য পরিবেশ অধিদপ্তর এ সকল শিল্পকারখানা নিয়মিত পরিবীক্ষণ করছে এবং উদ্যোক্তাগণকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদাণ করছে। সুন্দরবনের নিকটতম স্থানে এলপিজি প্লান্টসহ বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলেও সেগুলি দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়।

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৫ (১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ১৯৯৯ সালে সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের বাইরের চর্তুদিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাকে সরকার প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, সুন্দরবন প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী শিল্প কারখানা স্থাপনে পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান করা হয় না। সুন্দরবন ইসিএ এলাকায় অবস্থিত বিদ্যমান শিল্প কারখানাগুলোতে মালিকগণ কর্তৃক পরিবেশ ও প্রতিবেশ দূষণের প্রয়োজনীয় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এইচএস/আরআই