• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০১৯, ০২:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৪, ২০১৯, ০৯:০০ পিএম

‘নিরাপত্তা বিবেচনায় কেরানীগঞ্জ কারাগারে আদালত’

‘নিরাপত্তা বিবেচনায় কেরানীগঞ্জ কারাগারে আদালত’

ডাক্তারদের ছাড়পত্র পেলেই বিএনপি চেয়ারপরসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। সেখানে কারাগারের অভ্যন্তরে স্থাপিত বিশেষ আদালতে তার মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম চলবে। বিচারের সুবিধার্থে এবং নিরাপত্তার বিবেচনায় কেরানীগঞ্জে ইতোমধ্যে একটি ভার্চুয়াল কোর্ট তৈরি করা হয়েছে। 

বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন , ঢাকা শহরের ভেতরে বর্তমানে কোনো কেন্দ্রীয় কারাগার নেই। যেহেতু কেন্দ্রীয় কারাগারটি কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা হয়েছে সেজন্য খালেদা জিয়াকেও সেখানে স্থানান্তর করা হবে। খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ওনাকে মুভ করার জন্য আগেও একটা স্পেশাল কোর্ট ছিল জেলখানার কাছে। এর আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। 

এতে বলা হয়েছে, কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে একটি নবনির্মিত ভবনকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি প্রধান এখন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

খালেদা জিয়াকে কবে নাগাদ কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তার চিকিৎসা হচ্ছে। ডাক্তার যখন বলবে যে তার চিকিৎসা সম্পন্ন হয়ে গেছে, তখন তাকে নিয়ে যাওয়া হবে। খালেদা জিয়ার সবগুলি মামলা বিশেষ আদালতে ছিল। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশেই। খালেদা জিয়া দোষী সাব্যস্ত করার আগে থেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে বিশেষ আদালত স্থানান্তর করে তাঁর বিচার কাজ চলছিল। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যেহেতু কেরানীগঞ্জে চলে গেছে সেজন্য সেখানে বিচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে খালেদা জিয়ার কি কোন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে? এর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো এমন কোনো কথা বলি নাই যে কালকেই নিয়ে যাব, কালকেই বিচার শুরু হবে। ডাক্তাররা যতক্ষণ পর্যন্ত ছাড়পত্র না দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তো আমরা বলি নাই যে তাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হবে।’ 

খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার কি বিশেষ কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ থাক আর না থাক, আমরা কোন ঝুঁকি নিতে চাই না। ঝুঁকিপূর্ণ এমন কোনো তথ্যাদি আমাদের কাছে নাই। কিন্তু আমরা সব ব্যাপারেই সিকিউরিটি কনসার্ন।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার যে ই-জুডিশিয়ারি স্থাপন করছে সেখানে একটি বিধান রাখা হচ্ছে যাতে হাই সিকিউরিটি কারাবন্দিরা কারাগার থেকে সাক্ষ্য দিতে পারে। সে কারণে কেরানীগঞ্জে কারাগারের ভেতরে আদালত স্থাপন করা হয়েছে।

জেড এইচ/টিএফ