• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯, ১২:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম

বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা ছিল গান্ধীজির অহিংস নীতি : শেখ হাসিনা 

বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা ছিল গান্ধীজির অহিংস নীতি : শেখ হাসিনা 
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে করমর্দন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -পিএমও

সমসাময়িক বিশ্বে মহাত্মা গান্ধীর প্রাসঙ্গিকতা

....................

● মহাত্মা গান্ধী ছিলেন আশার বাতিঘর

● অহিংস উপায়ে মানবজাতিকে নাড়া দিয়েছিলেন গান্ধীজি 

● মহাত্মা গান্ধী জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করতেন 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, মহাত্মা গান্ধীর মানবতার আদর্শ ও নীতিগুলো সব বিভাজন জয়লাভ করে আগামী প্রজন্ম একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করবে। 

তিনি বলেন, যখনই বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব ও তার ত্যাগ এবং মানুষের জন্য তার সংগ্রামের দিকে নজর দেই, তখনই আমি মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে অনেক কিছুর মিল খুঁজে পাই। শান্তিকামী বাঙালির ওপর তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকদের অত্যাচার ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল গান্ধীজির সাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং অহিংস নীতি।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে এই উপলব্ধি প্রকাশ করেন।

ইন্ডিয়ান মিশন আয়োজিত ‘নেতৃত্ব বিষয়ে- সমসাময়িক বিশ্বে মহাত্মা গান্ধীর প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন, নিউ জিল্যাণ্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন সহ ৭ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান বক্তব্য রাখেন।

গান্ধীজি ছিলেন আশার বাতিঘর, অন্ধকারে আলো এবং হতাশায় ত্রাণকর্তা- এই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার উজ্জ্বল ও মন্ত্রমুগ্ধ নেতৃত্ব বিশ্বকে দেখিয়েছে কিভাবে অহিংস উপায়ে মানবজাতি নাড়া দেয়া যায় এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে পারে।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নিজস্ব উপলব্ধির কথা প্রকাশ করেন বিশ্বনেতাদের সামনে। তিনি বলেন, গান্ধীজি স্মরণে এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। এ বিশেষ দিনে, আমি চাই গান্ধীজির মানবিক আদর্শ এবং নীতিগুলো সমস্ত বিভাজনে জয়লাভ করবে এবং নতুন প্রজন্মের জন্য ন্যায়সঙ্গত একটি বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এমন এক বিশ্বে বসবাস করছি যেখানে ঘৃণা ও ধর্মান্ধতা বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থার দিকে ধাবিত করছে। প্রতিনিয়তই বিভক্ত মানবজাতি। গান্ধীজি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করতেন। যা ব্যক্তির মধ্যে থাকে এবং যার মালিক জনগণ নিজেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক অবস্থান, প্রথা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি তার নিঃস্বার্থ ভালবাসা এবং স্নেহ তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দিয়েছিল। তার সহনশীলতা, অহিংস এবং সম্প্রীতির সহাবস্থান নীতিগুলো একটি জাতিকে গড়ে তুলতে পথ-নির্দেশকের ভূমিকা রাখে। আজও পৃথিবীর যেখানে গণতন্ত্র চর্চা হয় সেখানে গান্ধীর বৈচিত্র্যময় আদর্শগুলো অনুসরণ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে গান্ধীর আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার বাবা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করি, যিনি গান্ধীজি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।

শেখ হাসিনা বলেন,  বৈরিতা ও উস্কানির মুখে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিরব। কিন্তু অহিংস নীতির প্রতি ছিলেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু অবশ্য নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা শুরু করলে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ের আহ্বান জানান।

এসএমএম

আরও পড়ুন