• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২০, ০৭:৩০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৪, ২০২০, ০৭:৪০ এএম

করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গ

সংক্রামক ব্যাধি সংক্রান্ত আলোচিত হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা ও সত্যতা

সংক্রামক ব্যাধি সংক্রান্ত আলোচিত হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা ও সত্যতা

সারাবিশ্বের বুকে যখন মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাণঘাতি সংক্রমণের বিস্তারে রীতিমত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানবকূল, তখন ভয়াবহ এই ব্যাধি বিনষ্টকারী বিধানের চর্চা রেখে একদল মানুষ অবান্তর বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। ব্যাধির সংক্রমণ প্রসঙ্গে উল্লেখিত ইসলামের শ্রেষ্ঠতম নবী ও মানবকূলের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মহানবী হযরত মুহম্মদ (সঃ)-এর একটি হাদিসের অসম্পূর্ণ আলোচনা ও তাত্ত্বিকতা উপস্থাপনের ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে অযাচিত এক বিতর্ক চলছে এখন সারা দুনিয়াজুড়ে।

উল্লেখিত বিষয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে একদল ইসলামিক বোদ্ধা একটি সহী হাদিসের উপস্থাপনের মাধ্যমে বলছেন, সংক্রামক ব্যাধির যে তত্ত্ব বিজ্ঞান দিচ্ছে তা ভ্রান্ত। কারণ নবীজী বলেছেন, সংক্রামক ব্যাধি বলতে কিছু নেই। ব্যাধি কখনো সংক্রমিত হয় না। আর সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিজ্ঞান বলছে, সংক্রামক ব্যাধি যে আছে তার জ্বলন্ত প্রমাণ পৃথিবীর মানুষ এখন যেমন দেখতে পাচ্ছে তেমনি আগেও  ততোধিকবার দেখেছে। সেক্ষেত্রে নবী মুহম্মদ (সঃ)-এর এই আলোচিত হাদিসটি অসত্য বা ভুল প্রমাণ হয়েছে। এই দুই তত্ত্বের মাঝে পড়ে সাধারণ মানুষ রয়েছে চরম বিব্রতিতে।

বাস্তবতা হচ্ছে এই দুই পক্ষই সংক্রামক ব্যাধি সংক্রান্ত নবীজীর হাদিসের অসম্পুর্ণ তথ্য আমলে নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করছে। যাতে করে চরম বিভ্রান্তি ও বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্যে সবচেয়ে বেশি দায়ি হচ্ছে প্রথম পক্ষ। কারণ, তারা এই হাদিসটির গভীরতা অনুধাবন না করেই নিজেদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে এবং নবীজীর হাদিসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দিয়েছে।

সাম্প্রতিক এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে মানুষের মাঝে বিশেষ করে মুসলমানদের মাঝে প্রত্যক্ষ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নবীজীর এই হাদিসের সীমাবদ্ধতা প্রসঙ্গে প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে। কিন্তু নবীজীর এই হাদিসটির শাব্দিক উপস্থাপনের পাশাপাশি এর তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা এবং এই প্রসঙ্গে বর্ণিত আরো কয়েকটি হাদিসের আলোকে বিবেচণা করলে সৃষ্ট বিতির্কটি যে ভিত্তিহীন তা প্রমাণিত হয়। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক আসলে এই হাদিসটি দ্বারা কি বর্ণিত হয়েছে এবং সংক্রামক ব্যাধি সম্পর্কে নবীজীর তথা ইসলামিক বিধানের সত্য দর্শন কি? সেক্ষেত্রে খুব সচেতনভাবে বিষয়টি অনুধাবন করা আবশ্যক।

ইসলামিক বিধান সমর্থনকারী একদল মানুষ গলা ফাটিয়ে বলে বেড়াচ্ছেন নবী মুহাম্মাদ(ﷺ) এর হাদিসের বক্তব্য অনুসারে, সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাধি বলতে কিছু নেই। অর্থাৎ এক প্রাণীর দেহ থেকে অন্যজনের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন কোনো ব্যাধির অস্তিত্ব হাদিস স্বীকার করে না। যার প্রমাণ হিসেবে তারা নিম্ন বর্ণিত সহী হাদিসটিকে উপস্থাপন করছে-

وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ، وَيُعْجِبُنِي الفَأْلُ» قَالُوا : وَمَا الفَألُ ؟ قَالَ: «كَلِمَةٌ طَيِّبَةٌ»

‘‘রোগের সংক্রমণ ও অশুভ লক্ষণ বলতে কিছুই নেই। তবে শুভ লক্ষণ মানা আমার নিকট পছন্দনীয়।”
[লোকেরা] বলল, শুভ লক্ষণ কী?
তিনি বললেন, উত্তম বাক্য।’’
[সহীহ বুখারী ৫৭৭৬, সহীহ মুসলিম ৫৯৩৩-৫৯৩৪]

প্রথমেই দুটি বিষয় এক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে জেনে নেয়া ভাল। প্রথমত, বিভিন্ন পরিস্থিতি বা ঘটনার প্রেক্ষিতে নবীজীর হাদিসগুলো বর্ণিত হয়েছে। আর দ্বিতীয়ত, যে হাদিসটি এখানে বর্ণিত হয়েছে তা এই প্রেক্ষাপটে বর্ণিত হাদিস ক্রমের প্রথমটি মাত্র। যার ব্যাখ্যা পরবর্তী হাদিসগুলোর দ্বারা সম্পূর্ণ করা হয়েছে। যার কারণে এই হাদিসের ক্রমের মধ্যে শুধু একটিকে বিবেচনায় নিলে আলোচনাটি হবে অসম্পূর্ণ ও বিকৃত।

হযরত আনাস (র) হতে বর্ণিত এই হাদিসটি সঠিক। এই হাদিসের আলোকে দেখা যাচ্ছে নবীজী রোগের সংক্রমণের বিষয়টিকে অস্বীকার করছেন যা বাস্তব প্রেক্ষাপটে আমাদের কাছে ভুল বলে মনে হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, নবীজী মোটেও ভুল বলেননি। কেন? সেটা বুঝে নিতে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পরবর্তী আরো কয়েকটি হাদিসে আলোকপাত করা একান্ত জরুরি। যা এই হাদিসটির বিস্তৃত বর্ণনা ও ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে।

আবু হুরাইরা(রা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসু্লুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ "সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই। কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই, সফর মাসকেও অশুভ মনে করা যাবে না এবং পেঁচা সম্পর্কে যেসব কথা প্রচলিত রয়েছে তাও অবান্তর।" - অর্থাৎ গুজব ও কুসংস্কারে নবীজী বিশ্বাসী নন। 

তখন এক বেদুঈন বললো, "হে আল্লাহর রাসুল! আমার উটের পাল অনেক সময় মরুভূমির চারণ ভূমিতে থাকে, মনে হয় যেন নাদুস-নুদুস জংলী হরিণ। অতঃপর সেখানে কোনো একটি চর্মরোগে আক্রান্ত উট এসে আমার সুস্থ উটগুলোর সাথে থেকে এদেরকেও চর্মরোগী বানিয়ে দেয়।"
 
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বললেন- "প্রথম উটটির রোগ সৃষ্টি করলো কে?"

মা‘মার (রহ.) এবং যুহরী (রহ.) উল্লেখিত সূত্রানুসারে - আবূ হুরাইরা(রা) সূত্রের বর্ণনা অনুসারে, তিনি নবী(সঃ) কে বলতে শুনেছেনঃ "রোগাক্রান্ত উটকে যেন সুস্থ উটের সাথে একত্রে পানি পানের জায়গায় না আনা হয়।’’  [সুনান আবু দাউদ- ৩৯১১]

অর্থাৎ নবীজী রোগাক্রান্ত উট থেকে সুস্থ উটগুলোকে সরিয়ে রাখতে বলেছেন যাতে অসুস্থ উটটির সংস্পর্শে এসে সুস্থ উটগুলো রোগাক্রান্ত না হয়। এর অর্থ দাড়ায়, অসুস্থ উটের দেহ থেকে দূরবর্তী উটের গায়ে রোগের জীবাণু যেহেতু নিজ থেকে গিয়ে সংক্রমণ ঘটাতে পারবে না, সেহেতু সুস্থ উটেদের দূরে রেখে তাদের রোগাক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব। ঠিক যেভাবে লকডাউনে থেকে আমরা করোনা আক্রান্ত কোনো রোগির সংস্পর্শে না আসার চেষ্টা করছি। কারন একমাত্র সেটা হলে আমাদের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ সম্ভব। নইলে না।

এছাড়া কুষ্ঠরোগের সংক্রমণ প্রসঙ্গে নবীজীর একটি হাদিস বর্ণনা করে- “…কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাকো, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাকো।” [সহীহ বুখারী ৫৭০৭]

এক্ষেত্রেও সেই একই থিওরী বা তত্ত্ব সত্য প্রমাণিত হয়।

এই সহী হাদিসগুলোর আলোকে যা জানা গেল তা হলো, এক উট থেকে অন্য উটে রোগের জীবাণু সংক্রমিত হয়। এ ছাড়া কুষ্ঠ রোগীর নিকটে গেলে এর জীবাণু সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকে। হাদিসগুলোতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, “সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই” বলবার সাথে সাথে এটাও বলা হচ্ছে যে, রোগাক্রান্ত উটকে যেন সুস্থ উটের কাছে না আনা হয় এবং কুষ্ঠ রোগীর থেকে যেন দূরত্ব বজায় রাখা হয়। সীমিত জ্ঞানের আলোকে নিবীজীর এই বক্তব্যগুলো পরস্পর সাংঘর্ষিক বলে মনে হবে। আসলে তা নয়।

এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, রোগের জীবাণু সংক্রমিত হবার প্রাকৃতিক এ প্রক্রিয়া হাদিসে উপেক্ষিত হয়নি। এ প্রক্রিয়া যদি হাদিসে অস্বীকারই করা হত, তাহলে , নবী(সঃ) কেন কুষ্ঠ রোগীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বললেন? আর কেনইবা রোগাক্রান্ত উটকে সুস্থ উটের কাছে আনতে নিষেধ করলেন? মূলত তিনি যা বোঝাতে চেয়েছেন তা হলো, সংক্রমণের জন্য ব্যাধি সক্ষম নয়  অর্থাৎ ব্যাধির সংক্রমণ বলে কিছু নেই। বরং ব্যাধিগ্রস্ত দেহের সংস্পর্শ হচ্ছে সংক্রমণের জন্য দায়ি। হাদিসের এই তাত্ত্বিক ব্যাখাটি অজানায় রেখে একটি হাদিসের শাব্দিক বর্ণনাকে অবুঝের মত প্রচার করা মানে হাদিসের অবমাননা এবং মানুষকে বিভ্রান্ত বা গুমরাহ করার মত গর্হিত অপরাধ। যা কোরআনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখিত।

এ প্রসঙ্গে আমরা আরো একটি হাদিস দেখতে পারি— “যখন তোমরা কোন্ অঞ্চলে প্লেগের বিস্তারের সংবাদ শোন, তখন সেই এলাকায় প্রবেশ করো না। আর তোমরা যেখানে অবস্থান কর, সেখানে প্লেগের বিস্তার ঘটলে সেখান থেকে বেরিয়ে যেয়ো না।” [সহীহ বুখারী ৫৭২৮]

কতই না উত্তম ও কার্যকর একটি ব্যবস্থা। মহামারী আক্রান্ত অঞ্চল থেকে রোগীরা যদি বেরিয়ে না যায় এবং সে অঞ্চলে যদি বাইরে থেকে লোক না আসে, তাহলে রোগের জীবাণু ছড়িয়ে যাবার সুযোগ অনেক কমে যায়। এটা দেখে কি আদৌ মনে হচ্ছে যে হাদিসে রোগের জীবাণু ছড়িয়ে যাবার প্রাকৃতিক নিয়মকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে?

সার্বিক আলোচনা থেকে যা বোঝা গেল তা হল, ব্যাধির সংক্রমণ ঘটতে পারার প্রাকৃতিক বিষয়টি যেমন সত্য তেমনি সত্য হলো- ব্যাধির সংক্রমণ ঘটতে পারে না, যদি সেটা না ঘটানো হয়। বিজ্ঞানও তাই বলছে। বিজ্ঞান বলছে, করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে গেলে আক্রান্ত হওয়ার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তা না হলে সংক্রমণের শিকার হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই ঘরে থাকুন, ঘরে থাকুন এবং ঘরে থাকুন। 

যারা আলোচিত হাদিসটির সঙ্গে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও সংক্রামক ব্যাধি সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাকে সাংঘর্ষিক বলে বিবেচনা করছেন। অথবা আলোচিত হাদিসটিকে বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার বিষয়টিকে অসত্য দাবি করতে চাইছেন, তারা উভয়পক্ষই ভুল করছেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দার্শনিক ও তত্ত্ববিদ মহানবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) কখনো ভুল হতে পারেন না। কারণ তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে অত্যাধুনিক ও পরিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থায় জ্ঞান লাভ করেছেন- পবিত্র আল কোরআন দ্বারা। আর এ বিজ্ঞানের প্রকৃত ও প্রতিষ্ঠিত সত্যগুলোও বানোয়াট হতে পারে না। কারণ বিজ্ঞান হচ্ছে জ্ঞানের সেই বিশেষ শাখা যা কোরআন দ্বারা শুদ্ধ বলে সত্যায়িত।

কোরআন ও হাদিসের প্রকৃত দীক্ষা কখনও অবৈজ্ঞানিক, কাল্পনিক, বানোয়াট ও অসত্য হতে পারে না। কারণ, বিজ্ঞানের বিশুদ্ধ তত্ত্বগুলোর সবই এই পবিত্র মহাগ্রন্থের মাঝে নিবন্ধিত। তাই ইসলামের বিধান ও বিজ্ঞান কখনই সাংঘর্ষিক নয়, যা অনেকেই ভুল ব্যাখ্যা করে থাকেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ইসলামের মত একটি পরিপূর্ণ বিধান ও অত্যাধুনিক জীবন দর্শনকে একদল কথিত ইসলামবিদ ও কোরআন-হাদিসের সীমিত জ্ঞানধারী তথাকথিত বিজ্ঞেরা নিজেদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করছে। আর এর ফলে একদিকে যেমন ইসলামিক বিধান ও এর তাত্ত্বিক দর্শনের প্রকৃত জ্ঞান থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। তেমনি একদল সুযোগ সন্ধানী মানুষকে সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিকৃত করার। এক্ষেত্রে ইসলাম বিরোধী বা এর দর্শনের সত্যতাকে অস্বীকারকারীদের যতটা দোষ, তার চেয়ে বেশি দোষ সেই সকল মানুষের যারা ইসলামকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে এবং এর দর্শনকে জ্ঞান স্বল্পতার কারণে বিকৃত করে ফেলেছে।

তথ্যসুত্রঃ

• সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, সুনান আবু দাউদ (তাফসীর সংগ্রহ)
• ‘Park's preventive and social medicine’- K. Park
• ‘ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম’ — শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল উসাইমিন(র), পৃষ্ঠা ১১৪-১১৬
• “What did the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) mean by “No contagion (‘adwa)”?” --- islamQ/A- Shaykh Muhammad Saalih al-Munajjid- https://islamqa.info/en/45694
• সাম্প্রতিক প্রতিবেদন- সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (ইউএসএ)