• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০১৯, ০৭:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১, ২০১৯, ০৭:২৯ পিএম

বেতন ভাতা কমছে বেসিক ব্যাংকের চাকরিজীবীদের 

বেতন ভাতা কমছে বেসিক ব্যাংকের চাকরিজীবীদের 
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি বেতন নেন। আবার তারা লোকসানে আছে। এটা কোনোভাবেই মানা যায় না। তাই বেসিক ব্যাংকের কর্মীদের বেতন কমানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) মতিঝিলে বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মাজিদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রফিকুল আলম। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক।

বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ৩৫৪ কোটি টাকা লোকসান করেছেন। মাত্র ৭২টা ব্রাঞ্চের জন্য এখানে প্রায় ২১০০ জনবল আছে। এত লোকের এখানে কী কাজ? আপনারা একদিকে অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় বেতন বেশি নেন। অন্যদিকে ব্যাংক লোকসানে। এটা কোনোভাবেই সম্ভব হতে পারে না। বেতন কমানো হবে। আপনারা কর্মকর্তারা সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেন। কীভাবে কত কমাবেন। সিদ্ধান্ত আমাকে জানান। এরপর আমি আমার সিদ্ধান্ত জানাবো।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমি বার বার আসবো না। আজকে এসেছি আপনাদের একটা সুযোগ দিয়ে গেলাম। ব্যাংক কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সে প্ল্যান দেন। আপনারা একটু সামনে এগুলে আমরাও এগোব। না হলে আমরাও এগোব না। আপনারা আপনাদের কাজ করেন। আমরা আমাদের কাজ করব। তিনি বলেন, ‘কোনো কর্মকর্তা কাজ না করলে, অনিয়ম করলে একবার বলব, দ্বিতীয় বার বলব না। চাকরি থাকবে না। আপনি কোর্টে যান। কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কোনো দিন আমাদের ভালোবাসা পাবেন না।’

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বেসিক ব্যাংকের ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খেলাপি তাদের কাছে যান। ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে ১০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধের সুবিধা নিতে বলেন। যারা ঋণ শোধ করতে চান তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করব। যারা টাকা মারার ধান্ধায় আছেন তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’

এআই/বিএস 
 

আরও পড়ুন