• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২০, ০৪:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৯, ২০২০, ০৪:৪২ পিএম

দুদক কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষুদ্ধ চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ 

দুদক কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষুদ্ধ চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ 
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ

নিজ দফতরে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন না করায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তাদের উপর ক্ষুদ্ধ স্বয়ং কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। 

বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি)দুপুরে কমিশন বৈঠকে উপস্থিত হয়ে সবার প্রতি তার ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত  করেন। 

কমিশন সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয় সকাল ১০টায়। বৈঠক চলাকালে আকস্মিকভাবে বেলা পৌনে ১২টায় উপস্থিত হন স্বয়ং দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এরপর তিনি কাউকে সুযোগ না দিয়ে মাইক্রোফোন নিয়ে কমিশন সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালকদের উদ্দেশ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

এ সময় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমি ব্যথিত, ক্ষুব্ধ এবং দুঃখিত। আপনারা কি আপনাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন? আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার কারণেই নির্ধারিত সময়ে অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। কিভাবে ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন কমিশনে উপস্থাপিত হয়? এতে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদকের মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। মনে রাখবেন, দুদক একটি গণ প্রতিষ্ঠান। জনগণের কাছে দুদকেরও জবাবদিহিতা রয়েছে। তাই আপনাদেরও জবাবদিহিতা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধান ও তদন্তে টাইম-লাইন না মানার জন্য রেকর্ড-পত্র সময়মতো না পাওয়ার বিষয়টি আপনারা বলে থাকেন। কী ভয়ঙ্কর কথা? কে রেকর্ড-পত্র দেয় না? যে বা যারা অনুসন্ধান বা তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রেকর্ডপত্র ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ করছেন না, তাদের বিরুদ্ধে কেনো দুদক আইন, ২০০৪ এর ১৯(৩) ধারায় মামলা হচ্ছে না? ইচ্ছাকৃতভাবে যারা দুদকের অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তে সংশ্লিষ্ট তথ্য সরবরাহ করছেন না, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দুদক আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে। কেউ যেন ছাড় না পায়।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে চেয়ারম্যান আরও বলেন, আপনারা একটিও বেআইনি কাজ করতে পারবেন না। আইনি দায়িত্ব পালন না করে বসে থাকলে তা কমিশন মেনে নেবে না। এভাবে বেআইনি যুক্তির মাধ্যমে অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্তে টাইম লাইন না মানার সংস্কৃতি সহ্য করা হবে না। দেশের জনগণ মনে করে, সর্বত্রই দুর্নীতি রয়েছে। তাই দুদকের প্রতি তাদের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা। তাদের চাহিদার তুলনায় কমিশনের জোগানতো নগন্য। এর দায় কে নেবে? আপনাদেরই নিতে হবে। আপনাদের পদোন্নতি, দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ সবইতো দেওয়া হচ্ছে। তারপরও আপনারা কেন নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন না। বছরের শুরুতেই সতর্ক করছি। গুনে গুনে হিসাব নেওয়া হবে। কেউ ব্যর্থ হলে জবাবদিহি করতে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক মামলা দায়ের করার পর, সেই মামলায় তো ফাইনাল রিপোর্ট (মিথ্যা) হতে পারে না? এ জাতীয় ঘটনা, কীভাবে কমিশনে উপস্থাপিত হয়? তাহলে আপনারা কি দুদক আইনের ২৮ ধারা সম্পর্কে সম্যক ধারণাও রাখেন না? কেউ যদি তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত না হয়ে তথ্য দিয়ে কমিশনে মামলা দায়েরের সুপারিশ করে অনুমোদন নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৮ (গ) ধারায় মামলা মামলা হচ্ছে না কেন ? আজ থেকে এ জাতীয় মিথ্যা মামলা দায়েরকারী যেই হোন না কেন তার বিরুদ্ধেও আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচ এম/বিএস