বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেছেন, এক দিকে গ্যাস সঙ্কটের কথা বলে এলএনজি আমদানি আর অন্যদিকে দেশের গ্যাস রপ্তানি সর্বনাশা নীতি জনবিরোধী। এ ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য মহাবিপর্যয় সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। গ্যাস রপ্তানির সুযোগ ও দাম বাড়িয়ে নতুন পিএসসি (প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট) ২০১৯ প্রকাশের সংবাদে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে ন্যাপ নেতারা বলেন, সমুদ্রের গ্যাস উত্তোলনে যে পিএসসি-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে তাতে বিদেশি কোম্পানিকে রপ্তানির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। যা দেশের স্বার্থের পরিপন্থী। সরকার সমুদ্রের গ্যাস রপ্তানির সুযোগ রেখে যে পিএসসি করলো এতে ভবিষ্যতে নিজেদের গ্যাস বিদেশিদের কাছে তুলে দেয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
তারা বলেন, সরকারের এসব উদ্যোগে বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানি আর দেশি কমিশনভোগীদের পকেট ভারীর ব্যবস্থা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের জন্য সৃষ্টি করা হচ্ছে মহাবিপর্যয়। নিজেদের গ্যাস সম্পদ যথাযথভাবে উত্তোলন ও দেশের কাজে শতভাগ ব্যবহারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে দেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সুলভ টেকসই সমাধান সম্ভব। একদিকে গ্যাস সঙ্কটের কথা বলে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি, রামপালসহ দেশবিনাশী কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন অন্যদিকে দেশের গ্যাস বিদেশে রপ্তানির সিদ্ধান্ত জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে যে কোনো মূল্যে গ্যাস রপ্তানির সিদ্ধান্ত বাতিল, শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করে সমুদ্র এবং স্থলভাগের গ্যাস উত্তোলনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও দেশের স্বার্থে গ্যাস ব্যাবহারের দাবি জানান তারা।
টিএস/ একেএস