একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর তা নিয়ে সমালোচনা ওঠায় ‘যথাযথভাবে যাচাই-বাছাইয়ের’ পর প্রকাশের পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজাকারের তালিকা নিয়ে একটা প্রশ্ন এসেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে দালাল আইনে বিবাদীদের লিস্ট আমরা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আমরা উইথড্রগুলোর নোট দিয়েছিলাম। সেটা তালিকায় যাথাযথভাবে আসেনি। আশা করি তারা যাথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে তা প্রকাশ করবে।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর রোববার ১০ হাজার৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ তালিকা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধার নাম এই তালিকায় উঠে এলে সমালোচনায় বিদ্ধ হন সংশ্লিষ্টরা।
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (এনআরসি) নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ১৯৭১ এর পরে কোনো মুসলমান ভারতে যায়নি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নিয়েছেন। বাইরের দেশ থেকে আমাদের দেশে মাদক প্রবেশ করছে। আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর জায়গায় যাচ্ছি। আজকে কৃষক লীগ এর বিরুদ্ধে যে শপথ নিয়েছে আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, শুদ্ধি অভিযান চলছে। অনেকেই মনে করেন আমরা থেমে গেছি। আমরা আসলে থেকে নেই। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এই অভিযান চলমান রাখবো। আমরা তথ্যভিত্তিক অভিযান চালাবো।’
চলমান দুর্নীতি, মাদক ও মজুদদারের বিরুদ্ধে অভিযানে কৃষক লীগের একাত্মতা- শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে কৃষক লীগ।
কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দকে দুর্নীতি, মাদক ও মজুদের বিরুদ্ধে শপথ বাক্য পাঠ করান আলোচনা সভার বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। অন্যদের মধ্যে ছিলেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, আসাদুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।
এএইচএস/ এফসি