• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯, ১২:৪৯ পিএম

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভাষা শহীদদের স্মরণ

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভাষা শহীদদের স্মরণ
ছবি: সংগৃহীত


ফুলেল শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সারা দেশে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো বাঙালি জাতি। ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা। 

রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার মধ্যদিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটির সূচনা হয়। ফুলেল শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সারা দেশে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো সর্বস্তরের মানুষ। 

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১২.০৪ মিনিটে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শ্রদ্ধা জানান। এর পর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নতুন সরবারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, ডিএসসিসি মেয়র, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের, তিন বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশের প্রধান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
 
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মতো একুশের প্রথম প্রহরে দেশের বিভাগীয় শহর খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রাজশাহী, সিলেট, রংপুরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান দেশের সর্বস্তরের মানুষ। 

বরিশালে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল।

এরপর পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদবেদিতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাজশাহী মহানগরীর শহীদ মিনারগুলোতে একুশের প্রথম প্রহরে ঢল নামে জনতার। রাত ১২টা ১ মিনিটে রাজশাহী কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ছায়েদুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

এখানে মহানগর বিএনপির পক্ষে আলাদাভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

এদিকে রাজশাহীর ঐতিহাসিক ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ওর্য়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। দিনাজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও প্রথম প্রহরেই পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। পরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার হামিদুল আলম শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।

খুলনায় ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর, ডিআইজি দিদার আহমেদ, জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান, পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন মোল্লা পুস্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর পরই খুলনা প্রেস ক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন মহল্লা ক্লাবসহ সর্বস্তরের সব বয়সের মানুষের ঢল নামে। মধ্যরাতে শহীদ হাদিস পার্কে মানুষের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠে।

মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা পুস্পমাল্য অর্পণ করেন শহীদ মিনারে।

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক, বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।

এমএম/বিএস