• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯, ১১:৫১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯, ০১:২২ পিএম

জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল

জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সাধারণ মানুষের ঢল -ছবি : জাগরণ

মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নেমেছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ অধিকাংশের হাতে লাল-সবুজের পতাকা। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা।

মহান এ দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোর থেকে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে হাজারো জনতা। যেন খণ্ড খণ্ড মিছিল।  

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিজয়ের ৪৮ বছর উদযাপন করতে আসা হাজারো মানুষের মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা উল্লাস। তবে এর মধ্যেও ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাতে ভুলেননি তারা।

অনেককেই দেখা গেছে দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলাতে। শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে তাদের হাতে ছিল নানা রঙের, নানা বর্ণের ফুল। আবার অনেকেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নীরবতা পালন করেছেন।

এর আগে সকাল ৬ টা ৩৪ মিনিটে মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল শহীদদের রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর পর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া। এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলীয় শীর্ষ নেতারা।

পরে ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক।

শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় পার্টি, ন্যাপ, জাসদ, বাসদ, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট ইসলামী ব্যাংক, নজরুল ইনিস্টিটিউট, সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, যুব মৈত্রী, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সমিতি, পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, রূপালী ব্যাংক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সাভার প্রেস ক্লাব, ন্যাপ ভাসানী, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, উদীচী শিল্প গোষ্ঠী, জাতীয় (আব.) সৈনিক পার্টি, গ্রামীণফোন, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ কৃষকলীগ, প্রজন্ম-৭১, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বিএনপি মহিলাদল, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শ্রমিক শিল্প ফেডারেশন, বাংলাদেশ আইন ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ছাত্র ইউনিয়ন, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর ঊষা সংঘ সাভার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর বিভিন্ন হলসমূহ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন হলসমূহ, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, আওয়ামী যুবলীগ, বিআইডব্লিউটিসি, জাতীয় জাদুঘর, প্রশিকা, জাতীয় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ঢাকা অফিসার্স ক্লাব, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার ল্যাবরেটরী কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন, নাগরিক সংহতি, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, ফেডারেশন অব এনজিও এসোসিয়েশেন, বাংলাদেশ খৃস্টান অ্যাসোসিয়েশেন, নজরুল ইনস্টিটিউট, গারো আদিবাসী, অনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ খৃস্টান অ্যাসোসিয়েশন, নজরুল ইনস্টিটিউ, গারো আদিবাসী, অনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সোনার বাংলা পার্টি, বন্ধন সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, জাকের পার্টি সাভার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, ইনিস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস কর্মচারী ফেডারেশন, কর্মজীবী নারী, ছাত্র ঐক্য ফোরাম, বাংলা একাডেমি, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনসহ অসংখ্য সংগঠন।

এমএএম/একেএস

আরও পড়ুন