• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২১, ০৭:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৪, ২০২১, ১১:১১ এএম

কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই

কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই

বার্ধক্যজনিক কারণে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার বিকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনরা খবরটি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, “রাবেয়া খাতুনের মৃত্যু দেশের সাহিত্য অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলা সাহিত্যের প্রসারে তার অবদান চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।” 

রাবেয়া খাতুন ১৯৩৫ সালে বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। লেখালেখির পাশাপাশি শিক্ষকতা এবং সাংবাদিকতাও করেছেন তিনি। দীর্ঘজীবনে তিনি বাংলা সাহিত্যকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনি ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য পুরস্কারেও।

উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথাসহ চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতেও বিচরণ রাবেয়া খাতুনের। তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘মেঘের পরে মেঘ’ থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ‘মধুমতি’ এবং ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ও প্রশংসিত হয়েছে সাহিত্যিক মহলে।

রাবেয়া খাতুনের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা শতাধিক। এরমধ্যে রয়েছে উপন্যাস, গবেষণাধর্মী রচনা, ছোটগল্প, ধর্মীয় কাহিনী, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথা ইত্যাদি। রেডিয়ো, টিভিতে প্রচারিত হয়েছে অসংখ্য নাটক, জীবন্তিকা ও সিরিজ নাটক।

সাহিত্যচর্চার জন্য পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৯৩), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৩), নাসিরুদ্দিন স্বর্ণপদক (১৯৯৫), হুমায়ূন স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮৯), কমর মুশতারী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪), বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার (১৯৯৪), শের-ই-বাংলা স্বর্ণপদক (১৯৯৬), ঋষিজ সাহিত্য পদক (১৯৯৮), লায়লা সামাদ পুরস্কার (১৯৯৯), অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৯) সহ অসংখ্য পুরস্কার।

১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই চিত্র পরিচালক এটিএম ফজলুল হকের সাথে বিয়ে হয় রাবেয়া খাতুনের। তাদের চার সন্তানের মধ্যে রয়েছে ফরিদুর রেজা সাগর, কেকা ফেরদৌসী, ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলী।