উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লির

উত্তাল কলকাতা আসাম ত্রিপুরা মেঘালয়

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৮:৫৩ পিএম উত্তাল কলকাতা আসাম ত্রিপুরা মেঘালয়

সিএবি-এনআরসি বিতর্ক

.........

● সফর স্থগিত জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের

● কলকাতায় রেললাইনে আগুন, সড়ক অবরোধ

● শিলংয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কারফিউ জারি

● শান্তি বজায় রাখার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী মমতার

● ভারতীয় হাই কমিশনারকে ডেকে পাঠাল ঢাকা

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) ও নাগরিকপঞ্জীর (এনআরসি) প্রতিবাদে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গসহ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় গোটা রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। আসামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়েরও বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়েছে। শিলংয়ে রাজভবনের সামনেই প্রতিবাদী জনতার ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ। 

আসামে বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে বাংলাদেশ দূতাবাসেও। গুয়াহাটিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনারের কনভয়ে হামলা এবং দূতাবাসের সামনে সাইবোর্ডে ভাঙচুরের ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাসকে ডেকে দূতাবাস এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলেছে শেখ হাসিনা সরকার। 

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের পর এবার ভারত সফর স্থগিত করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এসব সফর স্থগিতের জেরে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লির।

উলুবেড়িয়া ও বেলডাঙায় আগুন, ভাঙচুরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ -ছবি-আনন্দবাজার

কলকাতায় রেললাইনে আগুন, সড়ক অবরোধ
সিএবি বিরোধিতায় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় গোটা রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। হাওড়ার উলুবেড়িয়া, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা, বহরমপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি শুরু হয়েছে। অশান্তি ছড়িয়েছে কলকাতাতেও। কোথাও রেললাইন, কোথাও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

হাওড়ার উলুবেড়িয়া এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার পরিস্থিতি সবচেয়ে উত্তপ্ত।শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রথমে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয় উলুবেড়িয়ায়। কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তা আটকে আগুন জ্বালিয়ে দেন। পরে অবরোধ শুরু হয় রেল লাইনে। হাওড়া-খড়গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

উলুবেড়িয়া স্টেশনে বিক্ষোভ

হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতের দিকে যাওয়া বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেন আটকে পড়েছে। হাওড়ায় ফেরার পথেও আটকে রয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ওই শাখায় লোকাল ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রেল লাইনের ওপরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পাথর ছুঁড়ে হামলা চালানো হচ্ছে আটকে থাকা ট্রেনগুলোয়। একটি ট্রেনের চালক এবং এক রেলপুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে। আটকেপড়া যাত্রীদের অনেকেও জখম হয়েছেন।

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙাও শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত। জাতীয় সড়ক এবং রেললাইনে অবরোধ চলছে বেলডাঙায়। সেখানেও রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে পুলিশ অবরোধ হঠানোর চেষ্টা করতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। অবরোধও সরানো যায়নি। শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত। মুর্শিদাবাদের জেলা সদর বহরমপুরেও গোলমাল ছড়িয়েছে। সেখানেও জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়েছে। পরে অবশ্য অবরোধ উঠে যায়। তবে জেলার আরও উত্তরে উমরপুরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) থেকেই। পার্শ্ববর্তী জেলা বীরভূম থেকেও অবরোধ-বিক্ষোভের খবর আসতে শুরু করেছে।

উত্তপ্ত পার্ক সার্কাস এলাকাও

কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকাও উত্তপ্ত হয়েছে। পার্ক সার্কাস সেভেন্ট পয়েন্ট অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো লোক। রাস্তায় টায়ার জ্বালানো হয়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশান্তির বিরুদ্ধে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলায় শান্তি বহাল রাখুন। সিএবির প্রতিবাদ করতে হলে গণতান্ত্রিক উপায়ে করুন।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও শান্তির আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ‘সংসদে পাস হওয়া আইনে ভরসা রাখুন। দেশের সংবিধানে ভরসা রাখুন।  আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।

পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। 

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তপ্ত আসাম, শান্তি বজায় রাখার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী মমতার
মধ্যরাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সই করার পর নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আসাম। এবার সেখানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে গোটা রাজ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরও যেন থামছে না অশান্তির আগুন। তবে এখনও ১০টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা রয়েছে। এই ১০টি জেলা হল– লখিমপুর, তিনসুকিয়া, ডেমাজি, ডিব্রুগড়, চারাইদেও, শিবসাগর, জোরহাট, গোলাঘাট, কামরূপ (‌মেট্রো)‌ এবং কামরূপ।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালকে জনগণের কাছে আর্জি জানাতে হয়েছে যেন রাজ্যে শান্তি বজায় থাকে। গুয়াহাটি এবং ডিব্রুগড়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। সেখানে সেনাবাহিনী এবং আধাসেনা ফ্ল্যাগ মার্চ করছে। ভারত-জাপান শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তৈরি হওয়া তোরণ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে ‘‌নো সিএবি’‌। অর্থাৎ এখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই আন্দোলন ঠেকানো কার্যত চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস-ফাইল ছবি

ভারতীয় হাই কমিশনারকে ডেকে পাঠাল ঢাকা
দুই মন্ত্রীর সফর বাতিলের পর এবার ভারতের ওপর আরও চাপ বাড়াল বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাসকে ডেকে দূতাবাস এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলেছে শেখ হাসিনা সরকার।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দিনভর উত্তপ্ত ছিল আসাম। সেই বিক্ষোভে আক্রান্ত হয় বাংলাদেশ দূতাবাসও। গুয়াহাটিতে দূতাবাসের সামনে দুটি সাইনবোর্ডে কালি লেপে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। এমনকি বিমানবন্দর থেকে বেরুনোর পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার শাহ মহম্মদ তনভির মাসুরও।

রাতেই ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাসকে ডেকে পাঠান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব কামরুল আহসান। গোটা ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। সেই বৈঠকের পরে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানান হয়, ‘গুয়াহাটিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনারের কনভয়ে হামলা এবং দূতাবাসের সামনে সাইবোর্ডে ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কামরুল আহসান। সেখানে নিযুক্ত কূটনীতিক এবং দূতাবাসের সম্পত্তির নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন।’

ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে সঙ্গে সঙ্গেই আশ্বস্ত করা হয় বলে জানা গেছে। রীভা গাঙ্গুলি দাসকে উদ্ধৃত করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, দূতাবাস চত্বর, হাই কমিশনারের বাসভবন, সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা বাড়াতে এরই মধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় হাই কমিশনার। দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলে, ভবিষ্যতে এমন কোনও ঘটনা ঘটবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের ভারত সফর বাতিলের পরই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এমন বার্তায় ভারতের পক্ষে অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়ল বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। 

প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-ফাইল ছবি

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সফর স্থগিত
সিএবি-এনআরসি ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় স্থগিত হয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ভারত সফর।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমে এই সফর স্থগিত করা হয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণ লগ্নি এখানে হওয়ার কথা ছিল, যা থমকে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সংবাদ মাধ্যমে জল্পনা তৈরি হয় ভারত সফর বাতিল করতে পারেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও এনআরসির প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল আসামের গুয়াহাটিতেই জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সফর অনিশ্চিত বলে এদিন সকালে জানায় জাপানের সংবাদ সংস্থা জিজি প্রেস। 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জানিয়েছিল, তাদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও খবর নেই। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘দুই দেশের আলোচনার মাধ্যমে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সফর স্থগিত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে দু্ই দেশের সুযোগ মতো নতুন দিনক্ষণ স্থির হবে।

১৫ ডিসেম্বর (রোববার) থেকে তিন দিনের ভারত সফরে আসার কথা ছিল জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের। গত সপ্তাহেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র রবীশ কুমার ঘোষণা করেন, আগামী ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ভারত সফর করবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার বৈঠকের কর্মসূচিও ঘোষণা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও তখন বৈঠকের স্থান নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল গুয়াহাটিতে। কিন্তু এর আগেই জিজি প্রেস দাবি করে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী তার সফর বাতিলের কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন। যদিও শিনজো আবে এরই মধ্যেই সফর বাতিল করে দিয়েছেন এমন খবর দেয়নি জিজি প্রেস। কিন্তু এই খবরেই সাউথ ব্লকের কর্তাদের দুশ্চিন্তা বাড়ে। এর পরেই দুপুরে টুইট করে সফর স্থগিতের কথা ঘোষণা করেন রবীশ কুমার।

নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে উত্তাল শিলং, কাঁদানে গ্যাস-লাঠিচার্জ পুলিশের

উত্তাল শিলং, কাঁদানে গ্যাস-লাঠিচার্জ
নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে উত্তাল মেঘালয়ের রাজধানী শিলং। এদিন রাজভবনের সামনেই প্রতিবাদী জনতার ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ জনতাকে পুলিশ লাঠিচার্জও করে।

অভিযোগ রয়েছে, রাজভবনের সামনে পুলিশের ওপর পাথর ছুড়ছিল জনতা।

আসামের মতোই শিলংয়েরও বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। তবে সকাল ১০টা থেকে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে ওঠে। দুই দিন ধরে লাগাতার এসএমএস ব্যবস্থা এবং মোবাইল ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেয়া হয়।

শিলংয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বাজার থেকে দোকান-পাট সবই বন্ধ ছিল। যোগযোগের কোনও মাধ্যমও ছিল না। বাস থেকে শুরু করে স্থানীয় রিকশা বা অটো বন্ধ ছিল সবই। উত্যক্ত জনতার মোবাইল ফোনে তোলা নানা ভিডিওতে থেকে দেখা গেছে যে, কীভাবে দুটি গাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। 

শহরের মূল বাজারের রাস্তা অর্থাৎ পুলিশ বাজারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। অন্যদিকে ট্যুইটারে আর একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মানুষজন টর্চলাইট জ্বেলে রীতিমতো প্রতিবাদ মিছিল করছেন। 

অন্যদিকে শিলং থেকে ২৫০ কিমি দূরেই উইলিয়ামনগরে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে মানুষজন বিক্ষোভ দেখান মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাঙ্গমাকে। এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যুবার্ষিকীতে যোগদানের জন্যই তিনি মূলত সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই তাকে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষজন। খবর ও ছবি আনন্দবাজার, আজকাল, এই সময় ও ইন্ডিয়ান বাংলা এক্সপ্রেসের।

এফসি/ এসএমএম

আরও সংবাদ