• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, ০১:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম

সুচি মিথ্যা বলেছেন : আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দাবি

সুচি মিথ্যা বলেছেন : আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দাবি

‘রাখাইনে গণহত্যা হয়নি’ আদালতে অং সান সুচি’র এমন বক্তব্যকে মিথ্যা বলে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। তারা বলেন, এটা সুচির দায় এড়ানোর অপচেষ্টা। 

আইন বিশেষজ্ঞ আর সাবেক কূটনীতিকদের মতে, সুচির এ বক্তব্য ধোপে টিকবে না।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নেদার‍ল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক আদালতে যখন নিজ দেশের পক্ষে সাফাই গাইছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি, তখন উখিয়ায় ক্যাম্পে বসে তা শুনছিলেন রোহিঙ্গারা।

রাখাইনে কোন গণহত্যা হয়নি-সুচির এমন বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভ জানান নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। তারা বলছেন, তার এ বক্তব্য বিভ্রান্তিকর। সুচির প্রত্যক্ষ নির্দেশেই সেনাবাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।

রোহিঙ্গারা জানান, আমাদের উপর যে নির্যাতন তারা করেছেন তা পুরো বিশ্ব দেখেছে। এসব প্রমাণ এখনও হারিয়ে যায়নি। গণহত্যার জন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে। রোহিঙ্গা নেতারা মনে করেন, সুচি দায়মুক্তির জন্য এমন অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন অথবা তিনি রাখাইনের বাস্তব অবস্থা জানেননা। তাদের কাছে যে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তা গণহত্যা প্রমাণে যথেষ্ট।

রোহিঙ্গারা ভয়ে পালিয়ে এসেছে এ বক্তব্যে দ্বিমত জানিয়ে আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ আর কূটনীতিকরা বলছেন, সুচি যতই অস্বীকার করুক, গণহত্যার দায় এড়াতে পারবেনা মিয়ানমার।

আইন কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক জাকির হোসেন জানান, ১৯৮২ সালে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হল, শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হল, তাদের জায়গা-জমি কেড়ে নেয়া হয়েছে। ১৯৮০ সাল থেকে তাদেরকে নিশ্চিন্ন করার চেষ্টা চলছে তা ক্রামাগত এখনও অব্যাহত রয়েছে।

মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস সাবেক মিশন প্রধান মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম জানান, সেখানে ধর্ষণ, হত্যা হয়েছে, ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে এগুলো অস্বীকার করারা কোনো উপায় নেই। সব তথ্য-উপাত্ত সেখানে আছে। সুতারং এখানে যদি বলা হয়, মিয়ানমার কোনো দোষ করে নাই, সেটা প্রতিষ্ঠা করা খুব কষ্টকর হবে অং সন সুচির জন্য।

আন্তর্জাতিক আদালতের এই বিচার প্রক্রিয়া থেকে একটি ইতিবাচক ফল মিলবে বলেও আশা করছেন পর্যবেক্ষকরা।

টিএফ

আরও পড়ুন