• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০১৯, ১০:২১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৬, ২০১৯, ১০:৪৪ এএম

বেতন বাড়িয়েও অধ্যাপকদের মন পেলেন না মমতা

বেতন বাড়িয়েও অধ্যাপকদের মন পেলেন না মমতা
ভারতের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- ছবি : জাগরণ

কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেও, তাদের মন পেলেন না ভারতের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান তাদের বক্তব্য। কিন্তু কেউ কোনও সাড়া দেননি। এই সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কারও মনে কিন্তু থাকলে ক্ষমা চাইছেন তিনি। এর সঙ্গেই তিনি বলেন, তার কাছে রিজার্ভ ব্যাংক নেই।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ২০২০-র জানুয়ারি থেকে বেতন বৃদ্ধি কার্যকর করা হবে। ২০১৬ থেকে প্রতিবছরে ৩ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট দেয়া হবে। গেস্ট লেকচারার এবং পার্টটাইম লেকচারারদের জন্যও সরকারের ভাবনার কথা জানান।

মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, তাদের জন্য প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা করে বাড়ানো হবে। ইউজিসির সংশোধিত বেতনক্রম কার্যকর করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বারবার অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের মনোভাব জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউ কোনো সাড়া দেননি।

এই সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কারও মনে কিন্তু থাকলে ক্ষমা চাইছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন তিনি বেশি দিতে পারেননি। ভবিষ্যতে আয় বাড়াতে পারলে ফের ভাবনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী অসন্তুষ্ট অধ্যাপকদের মনের ভাব বুঝতে পেরে বলেন, একটু হাসি নেই মুখে। একটু খুশি হলে ভালো হয়।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার গরিবের সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর মতে কেন্দ্রের কাছে রিজার্ভ ব্যাংক রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের কাছে নেই। এছাড়াও রাজ্যকে ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধ করতে হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

নতুন বেতনক্রমে একেক জন অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসরের বেতন বাড়বে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা এবং প্রফেসরদের বেতন বাড়বে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু তাও খুশি নয় শিক্ষকমহল। সরকার এবং বিরোধী উভয়পক্ষের অধ্যাপকদেরই একটা বড় অংশ মনে করছেন, তারা বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে ফের প্রতারণা করা হয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার একটি সান্ধ্য কলেজের এক অধ্যাপক বলেন, প্রথমত গোটা দেশে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইউজিসি হারে বেতন দেয়া শুরু হয়ে গেছে ২০১৬ সাল থেকেই। অর্থাৎ বাংলার অধ্যাপকরা তিন বছর পিছিয়ে গেলেন। বেতনের অর্ধেক দেয়ার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। রাজ্য সরকার তাদের অংশ না দিলে কেন্দ্রীয় সরকারের ম্যাচিং গ্রান্ট দেয়ার প্রশ্নই উঠবে না। 

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপি বাংলা দখল করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি আসন দখল করে এমনিতেই খানিকটা অ্যাডভান্টেজে আছে তারা।

এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, কেউ কেউ বলছেন, আগামী নির্বাচনে আমরা সাফ হয়ে যাব। কিন্তু আমি বলে দিতে চাই, যারা একথা বলছেন, তারাই না নির্বাচনে সাফ হয়ে যান।

তবে মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুন না কেন, রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আগামী নির্বাচন শাসক দল তৃণমূলের কাছে বেশ কঠিন লড়াই হতে চলেছে। শুধু রাজনৈতিক মহল নয়, নেতাজি ইন্ডোরে অধ্যাপকদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দেখেও তাই ধারণা করা হচ্ছে। 
 

টিএফ