• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০১৯, ০৮:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৯, ২০১৯, ০৮:২১ পিএম

‌‘ভাড়া জাহাজের পেছনে বছরে ব্যয় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা’

‌‘ভাড়া জাহাজের পেছনে বছরে ব্যয় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা’
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

 

সংসদে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে আমাদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে বিদেশি জাহাজের উপরে নির্ভর করতে হয়। এর জন্য বছরে ভাড়া জাহাজের পেছনে সরকারের ব্যয় হয় ২৪০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ বহরে ৪৭টি জাহাজ রয়েছে। বিদেশী জাহাজের উপরে নির্ভরতা কমাতে বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংসদে টেবিলে উত্থাপিত ঢাকা-২০ এর এমপি বেনজীর আহমেদের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে নৌ-প্রতিমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।

সংশ্লিষ্ট এমপির প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ বহরে বর্তমানে ৭টি জাহাজ রয়েছে এবং ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আরো একটি নতুন জাহাজ বহরে যুক্ত হবে। এসব জাহাজের প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৩৯০০০ডিভব্লিউটি সম্পন্ন ৩টি প্রোডাক্ট অয়েল টাংকার এবং ৩টি বাল্ক ক্যারিয়ার। শিপিং কর্পোরেশনে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে আরো ৩২টি জাহাজ সংযোজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ২টি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার, ২টি মাদার ট্যাংকার, ১৮টি বাল্ক ক্যারিয়ার, ৬টি এলএনজি ক্যারিয়ার ও ৪টি সেলুলার কন্টেইনার। বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ৫ ডিডব্লিউটির উর্দ্ধে ধারণক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ বাংলাদেশী পাতাকায় রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্যে এনবিআর আরোপিত ভ্যাটের ১৫ শতাংশ শওকুফ করেছে।

দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে সরকারি খাতে পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএসসি কর্তৃক স্বল্প মেয়াদে ২০২১ সালের মধ্যে ২টি নতুন মাদার ট্যাংকার এবং দুটি নতুন ডিজেল পরিবহন উপযোগী প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার এবং দুটি অয়েল পরিবহন উপযোগী মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদের আরেকটি প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বিআইডব্লিউটিসির অধীনে ফেরি ঘাটের সংখ্যা ১০টি। পাটুরিয়া সেক্টরে ২০টি, শিমুলিয়া সেক্টরে ১৮টি, চাঁদপুর সেক্টরে ৫টি, ভোলা সেক্টরে ৩টি ও লঅহারহাট সেক্টরে ৪টিসহ মোট ৫০টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করে। এ বছরের শেষ নাগাদ আরো ২টি কে-টাইপ ফেরি টিসির ফেরি বহরে যুক্ত হবে।

এইচএস/