• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৭, ২০১৯, ০৬:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৮, ২০১৯, ১২:১৭ এএম

গুলিস্তানে হকারদের অবরোধে ঘরমুখো মানুষের বিড়ম্বনা

গুলিস্তানে হকারদের অবরোধে ঘরমুখো মানুষের বিড়ম্বনা
গুলিস্তানে সড়ক অবরোধ করে হকারদের বিক্ষোভ

ঈদকে সামনে রেখে রমজানে ফুটপাতে ব্যবসা করতে দেয়ার দাবিতে রাজধানীর গুলিস্তানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন হকাররা। হকারদের এই অবরোধে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ঘরমুখো সাধারণ মানুষ। প্রথম রমজানে অনেকেই পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় জ্যামে বসে  তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১১টার পর থেকে গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গুলিস্তানের এই জ্যামের প্রভাব পড়েছে পুরো রাজধানীতে।

হকাররা দুপুরের আগে আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা গোলাপ শাহ মাজারের সামনে নর্থ সাউথ রোড বন্ধ করে দেয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে পুলিশ।

বেলা ১টার দিকে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের সামনের সড়কও তারা অবরোধ করে। এতে পল্টন থেকে ফুলবাড়িয়া হয়ে সদরঘাট, গুলিস্তান থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর ক্রমেই এই জ্যাম বাড়তে থাকে সবদিকে। সচিবালযের সামনে আব্দুল গণি রোডের মুখে ওয়াসার পয়নিষ্কাশনের বড় বড় পাইপ ফেলে হকারদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে দেখা যায়। 

গণমাধ্যমকে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (পেট্রোল) আবুল বাশার বলেন, গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের চারিদিক দিয়ে রাস্তা বন্ধ রেখেছে হকাররা। গোলাপ শাহ মাজারের কোনো পাশ দিয়েই কোনো যানবাহন চলাচল করছে না।

হকাররা জানান, গত মাস চারেক ধরে তারা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের ফুটপাতে ব্যবসা করতে পারছেন না। তারা বেকার হয়ে আছেন।

মনির শেখ নামে আরেকজন হকার বলেন, আমরা ফুটপাতে বসতে চাই, এখানেই ব্যবসা করতে চাই। ফুটপাত থেকে তারাই মালামাল কেনে যারা ফুটপাত দিয়ে চলাচল করে। যারা বলছে, আমরা ফুটপাতে বসলে চলাচল করা যায় না, তারা মিথ্যা বলে। তারা উচু তলার মানুষ। ফুটপাত থেকে আমাদের উঠায়া দিলে তারা গাড়ি রাখতে পারবে।

এই অবস্থার মধ্যে বেলা সাড়ে ৩ টায় অফিস ছুটি হলে ঘরমুখো মানুষ পড়ে চরম বিড়ম্বনায়। উপায়ান্ত না দেখে পায়ে হেঁটেই রওনা হতে হয় তাদের। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাস এই গুলিস্তান হয়ে যায় বলে অবরোধের কারণে বহু যানবাহন গুলিস্তানের আশপাশের সড়কে আটকা পড়ে।
 
কলাবাগান থেকে ভুলতাগামী মেঘলা পরিবহনের চালক মো. আসলাম বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, দুই ঘণ্টা ধইরা বঙ্গভবনের সামনে বইয়া রইছি। গাড়ি এক চুলও লড়ে নাই।

গণমাধ্যমকে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাসিম বলেন, মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন হকারদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়রের কার্যালয়ে গিয়ে তার দেখা মেলেনি।

তিনি আরও বলেন, গত ৫ মে আমরা মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলাম, পুনর্বাসনের আগ পর্যন্ত আমাদের ফুটপাতে বসার ব্যবস্থা করে দেন। তিনি আজকে আমাদের তার অফিসে যেতে বলছিলেন। এগারোটায় সময় দিয়েছিলেন, এখন ৪টা বাজে। তার দেখা পাইনি। এজন্য হকারেরা রাস্তায় নেমে গেছে।

গণমাধ্যমকে পরিদর্শক আবুল বাশার বলেন, এই সময়ে রাস্তা বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ কষ্টে পড়ছে। আমরা হকারদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।

 

এমএ/ একেএস