• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ১১:৩৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০১৯, ০৫:৩৮ পিএম

রাজউকের ঝুঁকিপূর্ণ হাইরাইজ ভবনের তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই

রাজউকের ঝুঁকিপূর্ণ হাইরাইজ ভবনের তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই


রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ আর লাল ফিতায় চিহ্নিত করা ভবনগুলোর নকশা বহির্ভূত কি না- তা রাজউকের ৮ অঞ্চলের ২৪টি তদন্ত দল রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রাজউকের সদস্য উন্নয়ন অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, নকশা বহির্ভূত স্থাপনা, ভবনের পাশাপাশি ১১ তলার উপর হাইরাইজ ভবনগুলোর তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে। রাজউক থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে। মন্ত্রণালয় টেকনিক্যাল কারণে হয়তো প্রতিবেদন প্রকাশ করতে দেরি করছে।

সূত্র জানায়, প্রায় সাড়ে ১১ হাজার ভবন ঝুঁকিপর্ণ জানানো হয়েছে। বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে নগরীতে বহুতল ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণের বিষয়ে তদন্ত করে জমা দেওয়ার নিদের্শনা দেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তার নিদের্শনার আলোকে তদন্ত প্রতিবেদন রাজউকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ঝুঁকিপূর্ণও হাইরাইজ ভবন তদন্তে নিয়োজিত অঞ্চল -৫ এর (ধানমন্ডি-লালবাগ) এলাকার অথারাইজড অফিসার নূরুজ্জামান। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে রাজউকের সংশ্লিষ্ট শাখায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সব তালিকা প্রনায়ণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

রাজউকের অঞ্চল ৬ (মতিঝিল) অথারাইজড অফিসার খন্দকার অলিউর রহমান গতকাল দৈনিক জাগরণকে বলেন, এ অঞ্চলে অনেকই নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এধরণের ভবণ চিহ্নিত করার কাজ শেষ করে রাজউকে জমা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় যে কোন সময় এসব ভবনের সংখ্যাসহ প্রতিবেদন গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরবে।

অঞ্চল ৪ (গুলশান, বনানী, মহাখালী, পূর্বাচল) এর পরিচালক মামুন মিয়া তার এলাকায় ভবন ঝুকিপূর্ণ সম্পর্কে তথ্য দেননি। কারণ হিসাবে এলাকার কয়েকজন বাড়ির মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ তুলেছেন। মামুন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সাভির্সের একটি সূত্র জানায়, নগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ এবং নকশা বহির্ভূত স্থাপনা চিহ্নিত করতে অনুমোদিত নকশাও নির্মাণ, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষও ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।

রাজউক সূত্র জানায়, তদন্তে রাজউকের নকশা অনুমোদনের তারিখ, ইমারত নির্মান সময়কাল, নকশা অনুযায়ী অনুমোদিত তলার সংখ্যা, বাস্তবে তলার সংখ্যা, সিভিল এভিয়েশনের অনুমোনপত্র, কার পার্কিং, সেট ব্যাক, সিঁড়ির সংখ্যা, অগ্নিনির্গমন সিড়ির সংখ্যা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাসহ সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভবনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অনেকেই অনুমোদিত নকশা লঙ্ঘণের অভিযোগ স্বীকার করেন।

এছাড়া, ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষও রাজধানীর ভবনে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা পরিদর্শনে কাজ চুড়ান্ত করেছে। বিভিন্ন এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের ১০টি টিম। রাজধানীর সবগুলো ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।

এসজেড