• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০১৯, ০৯:৫৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৭, ২০১৯, ০৯:৫৮ এএম

ঈদের আমেজ কাটেনি, রাজধানীতে অধিকাংশ কাঁচাবাজার বন্ধ 

ঈদের আমেজ কাটেনি, রাজধানীতে অধিকাংশ কাঁচাবাজার বন্ধ 
ফাইল ছবি

ঢাকা শহর ফাঁকা । রাস্তাঘাটে নেই সারা বছরের মতো যানজট। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের সমাগম হলেও যান চলাচলে নেই তেমন ভিড়। ঈদের দিনের মতো পরের দিন বৃহস্পতিবার ঢাকার অলি-গলি একেবারে ফাঁকা অবস্থায় দেখা গেছে। শহরে লোকজন তুলনামূলকভাবে কম থাকায় বিভিন্ন কাঁচা বাজারে দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। বিচ্ছিন্ন ভাবে দু’একটি দোকান ফুটপাতে খুললেও ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা ক্রেতা সংকটে ভুগছেন। তবে, মগবাজার, নিউ ইস্কাটন,তেজতুরী বাজার ও রাজাবাজার পাড়া- মহল্লার অলি-গলিতে ভ্যান গাড়িতে করে এবং খুচরা বাজারে হাতেগোনা কিছু দোকানিকে সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাও আবার দাম হাকাচ্ছেন আকাশ ছোঁয়া।

ঈদের আগের দিন অর্থাৎ চাঁদ রাতেই রাজধানীর শপিংমলগুলোসহ বেশিরভাগ দোকান বন্ধ দেখা গেছে। রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচা পণ্যের আড়ৎ কারওয়ানবাজারেও ক্রেতা বিক্রেতা শূন্য। যে বাজারের রাস্তায় ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি ও রিক্সার ভিড়ে চলাচল করা দায় হয়ে পড়ে, সেই জায়গা এখন জনমানব শূন্য।

এদিকে কলমিলতা মার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোড সংলগ্ন কাঁটাবন হাতিরপুল কাঁচা বাজারেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। ব্যস্ততম এই এলাকায় ঈদের আগের মধ্যরাতে কৌশলে ডাব, আনারস, শসা, কাঁচা মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, লেবু, পটল, ঢেঁড়শ ও বরবটি বোঝাই ট্রাক আসার পরই ওই রাতেই সবজিগুলো সেখান থেকে বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু ঈদের দিন রাতে সারাদেশ থেকে তেমন কোনো কাঁচা মালের ট্রাক রাজধানীতে আসেনি। ঈদের আগে নিয়ে আসা সবজি দিয়েই চলছে হাতেগোনা ওইসব দোকানের বিক্রি।

অপরদিকে কারওয়ানবাজারের আড়ৎদারের কাছে কাঁচা মরিচের দাম জানতে চাইলে ব্যবসায়ী আলেক হোসেন জানান, কাঁচা মরিচ, পাইকারি ৮০ টাকা কেজি, ৫ কেজি পটল একশ ২৫ টাকা, বরবটির কেজি ৪০ টাকা। লেবু ১৫ থেকে ২০ টাকা হালি, তবে আকার অনুযায়ী দামের তারতম্যের কথাও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, কাঁচা মরিচ এক দাম নিতে চাইলে ৭০ টাকা পর্যন্ত রাখা যাবে। কিন্তু কাঁচা মরিচের দাম এতো বাড়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, রাজধানীতে ট্রাক ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তাই সব জিনিষের দাম একটু বেশি। 
অপরদিকে ৫ কেজি শসা বিক্রি করা হচ্ছে দেড়শ থেকে দুইশ টাকার মধ্যে। মঙ্গলবার রাতে ট্রাক থেকে নামানোর সময় যেমন শসা ছিল, তার চেয়ে অনেক ভালো শসা সকালে একশ ৩০ টাকা দর হয়েছে। তবে খুচরা বাজারে সেই তুলনায় দাম একটু কম। তার পরেও কাঁচা মরিচ ও শসা কিনছেন ক্রেতারা।

এদিকে মাছের বাজারে মাছ সংকট। সরবারাহ নেই বললে চলে। মাংসের বাজারে রেট বেড়েই চলেছে। মাছের বাজারে কোনো দোকানি নেই। ঈদের আগের তুলনায় পোল্ট্রি মুরগির দামে খুব বেশি হেরফের হয়নি। কেজি প্রতি ১০ টাকা কমবেশি করে পোল্ট্রি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা দরে। অন্যদিকে প্রতিটি দেশি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাকিস্তানি (কক) মুরগি ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরু মাংসের দামের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

এইচ এম/বিএস