• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০১৮, ১০:১৬ এএম

বিজয়ের মাসে এলো ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’

বিজয়ের মাসে এলো ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’

 

বিজয়ের মাসে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২য় ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’। বিশ্বের আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সম্পূর্ণ নতুন বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজটি শনিবার রাত পৌনে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ নিয়ে বিমানের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা এখন ১৫টি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দে উড়োজাহাজটির নামকরণ করা হয়েছে ‘হংসবলাকা’। অত্যাধুনিক এই আকাশযানটি ৩০ নভেম্বর দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল শহরের পেনফিল্ড এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। টানা সাড়ে ১৫ ঘণ্টা ভ্রমণ করে ঢাকায় এসে পৌঁছে।  

জানা যায়, বিমানটির ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক জেনারেল ইলেক্ট্রিক (জিই)।  ড্রিমলাইনার ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম। অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে।  শব্দ কমাতে ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে শেভরন প্রযুক্তি। বিমানটি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়েছে ইলেকট্রিক ফ্লাইট সিস্টেমের। কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হওয়ায় এই বিমান ওজনে হালকা। ভূমি থেকে এর উচ্চতা ৫৬ ফুট। দুটি পাখার আয়তন ১৯৭ ফুট।  মোট ওজন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬১৭ কিলোগ্রাম, যা ২৯টি হাতির সমান। এর ককপিট থেকে টেল (লেজ) পর্যন্ত ২৩ লাখ যন্ত্রাংশ রয়েছে।   

ড্রিমলাইনারে আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো বানিয়েছে অ্যাসটেলা। আর ইকোনমি ক্লাসের আসনগুলো হেইকোর বানানো।  বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো ৬৫ ইঞ্চি পিচ, ইকোনমি ক্লাসেরগুলো ৩১ ইঞ্চি পিচ।  বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে বিশ্রাম নিতে পারবেন।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এএম মোসাদ্দিক আহমেদ জানান, নতুন এই আকাশযান যুক্ত হওয়ায় লন্ডন, দাম্মাম ও ব্যাংকক রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বাড়বে।  অন্য এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন আকাশযানের অন্তর্ভুক্তি বিমানের জন্য সহায়ক হবে।’

বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারী বলেন, আকাশবীণার পর হংসবলাকা যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ ও বিমানের মুনাফা বৃদ্ধিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।  এর মধ্য দিয়ে সম্প্রসারিত বিমান বহর দিয়ে চলমান রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা সহজ হবে ও নতুন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে। ফলে যাত্রীদের ভ্রমণ হয়ে উঠবে আরও আরামদায়ক ও আনন্দময়।’

প্রসঙ্গত, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে মার্কিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের সঙ্গে ১০টি নতুন আকাশযান কেনার জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। ইতোমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ৬টি বিমান।  বাকি ৪টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর প্রথমটি অর্থাৎ ‘আকাশবীণা’ ঢাকায় আসে গত ১৯ আগস্ট।  ৪টি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।  বাকি দুটির নাম- ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’।

উল্লেখ্য, এর আগে ১৯ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সেরন ১ম ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণা’ ঢাকায় আসে। 


এএস/এফসি